স্টাফ রিপোর্টার ।।
আদালত চত্বরে পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেলের মধ্যে ইয়াবা রেখে ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের সঠিক তদন্তে ফেঁসে গেলো দুর্ধর্ষ মাদক বিক্রেতা জাহিদ মীর (৩০)। এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে নগরীর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। অপরদিকে মাদক বিক্রেতা জাহিদকে গ্রেফতারের জন্য রাতেই তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে তাকে না পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রোববার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে জাহিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সগির হোসেন বলেন, মামলায় উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দর সংলগ্ন মুন্ডুপাশা গ্রামের আব্দুল হাই মীরের ছেলে জাহিদ মীরকে আসামি করা হয়েছে। তাকে (জাহিদ) গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।সূত্রমতে, উজিরপুর উপজেলার সরকারী শের-ই বাংলা ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে মাদক বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাকিল মাহমুদ আউয়াল খান। এনিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরধরে মাদক বিক্রেতা জাহিদ মীর, আরিফ মীর, মারজু বিশ্বাস, শান্ত মৃধা ও মোঃ হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাই শিকারপুর বন্দর ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক করিম খানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরেও পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেননি। ফলে আদালতে মামলা দায়েরের জন্য রবিবার দুপুরে করিম খান বরিশাল আদালত চত্বরে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পার্কিং করে আইনজীবীর সাথে দেখা করতে যান।এ সুযোগে আদালত চত্বরের মধ্যে বসেই তার (করিম) মোটরসাইকেলের মধ্যে ইয়াবা রেখে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোবাইল ফোনে থানা পুলিশকে খবর দেয়। প্রায় একঘন্টাপর করিম খান তার মোটরসাইকেলের কাছে আসলে সাদা পোষাকে পুলিশ পরিচয়ে তার মোটরসাইকেল তল্লাশি করে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের (ওসি/তদন্ত) মো. সগির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় এনিয়ে গভীর তদন্ত করা হয়। একপর্যায়ে রহস্যের জট খুলে যাওয়ায় জাহিদ মীরকে আসামি করে রাতেই থানায় মামলা করা হয়েছে।