পটুয়াখালীর জেলার গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নে নির্মিত আসন্ন দুর্গাপূজার প্রতিমা খোলা আকাশের নিচে
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ৮:০০ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি ঃ
পটুয়াখালীর জেলার গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নে নির্মিত আসন্ন দুর্গাপূজার প্রতিমা খোলা আকাশের নিচে। বৃষ্টি এলইে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনরে র্দূঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কিছু দিন পরেই র্দুগা পূজা। প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রাইয় শেষ, এখন শুধু রং করার সময় ঘনিয়ে আসছে। মন্দিরটি যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানকার স্থানীয় জনগণের সাথে আলাপ করে জানা যায় যে এবং কাগজপত্রে দেখা যায় ১৯৫৯-৬০ সালে নিলামকৃত খতয়িান নং-৪৮০ এর দাগ নং- যথা ৩৯৪৪ (০৯ শতাংশ), ৩৯৪৩ (০৭ শতাংশ), ৩৯৪৫ (১১ শতাংশ), ৩৯৪৬ (১০ শতাংশ), ৩৯৫৭ (০৪ শতাংশ), ৩৯৫৯ (২২ শতাংশ), ৩৯৫৫ (১১ শতাংশ) মোট জমি ০.৭৪ শতাংশ জমি ক্রয়কৃত মালিক মৃতঃ রবি চন্দ্র দাস এর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মালিকগণ রমেশ চন্দ্র দাস, উমেশ চন্দ্র দাস, দিনেশ চন্দ্র দাস-এদের নামে মিউটিশন করা হয় এবং ১৪১৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত খাজনাদি পরিশোধ করা আছে। অপরদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সুহৃদ সালেহীন জানান যে “সার্বজনীন দুর্গা মন্দির” আমখোলা ইউনিয়ন গলাচিপা (রমেশ চন্দ্র দাসের বাড়িতে) সরকারি খাস যায়গায় হওয়ায় র্দুগা মন্দরিটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে গত ১৯ আগস্ট সোমবার কিন্তু সরকারের স্বপক্ষে কোন প্রমানাদি নাই বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: সুহৃদ সালেহীন। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিল্পপ চন্দ্র শীল জানান, এ জায়গায় মন্দির স্থাপণ করে র্দূগা প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ করে ১৯ আগষ্ট সোমবার বিকালে উপজেলা সহকারী কমশিনার (ভূমি) মো: সুহৃদ সালেহীন এর নেত্বেতে আমাদের তৈরি মন্দিরটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এখন প্রতিমা নিয়ে বিপাকে পরেছে এলাকার ধর্মানুরাগীরা। এ বিষয় রমশে চন্দ্র দাসের কাছে জানতে বলেন, এই জমিতে আমার বাব-দাদার আমল থেকে বসবাস করে আসছি। এখানে আমার বাব-দাদার পাকা সমাধিস্থল আছে। আমার জমি সরকারি বলে আমাকে বিবাদী করে , লক্ষণ চন্দ্র মালী সরকারের পক্ষে বাদী হয়ে একটি মিস কেস মামলা করেন যাহার মামলা নং- ১২/২০০৪ অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)এর বরাবর। পরবর্তীতে মামলাটি আমলে নিয়ে কাগজপত্র পযালচনা করে বাদীর করা মামলাটি নামঞ্জুর করে দেন।
মন্দিরের উপরে ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি এলে প্রতিমা ভিজে নষ্ট হয়ে যাবে। এ বিষয় একই এলাকার গণ্যমান্যরা যথা-বাবু বিনয় ভুষন শীল, চিকিৎসক ডাঃ সুশীল চন্দ্র শীল, সুকুমার চন্দ্র শীল, রাজেশ্বর চন্দ্র শীল, লক্ষন চন্দ্র মালী, বিপুল চন্দ্র ঠাকুর, তপন চন্দ্র স¦র্ণকার, কমল চন্দ্র শীল, বিমল চন্দ্র শীল, অমরী চন্দ্র দাস, বঙ্কিম চন্দ্র চক্রবর্তী, ননী চন্দ্র শীল, সুবাস চন্দ্র সরকার, সুশিল চন্দ্র মিস্ত্রী, বিল্পব চন্দ্র মালাকার, সজল চন্দ্র মালী, সুশান্ত মালী, বাবুল চন্দ্র শীল, উত্তম চন্দ্র শীল, সঞ্জন চন্দ্র দাস, অজুন চন্দ্র শীল, জয়দবে বশ্বিাস, সুবাস চন্দ্র মালী, কানন বালা মালী, অঞ্জনা রানী দাস, শংকর চন্দ্র শীল, বিনয় চন্দ্র শীল, গনেশ চন্দ্র দাস, সুকুমার চন্দ্র দাস, মনিকা রানী মালী, অনুকুল চন্দ্র দাস, বাদল চন্দ্র দাস, মাধব চন্দ্র দাস এরা বলনে, দেশরত্ন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মহোদয়ের কাছে আমাদের জোর অনুরোধ যাতে আমরা প্রতি বছররে ন্যায় এখানে এবারও এলাকার সকল ধর্মের মানুষের ঐক্য বন্ধনে দুর্গাপূজা করতে পারি। এ বিষয় আমখোলা ইউনিয়নরে চেয়ারম্যান মো. মনির মৃধা বলনে, প্রতিম তৈরী করার কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু রং এর কাজ করা বাকি কিন্তু এখন প্িরতমার উপরে কোন ছাউনি না থাকলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের র্দূঘটনা।
গলাচিপা র্পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র পাল, সাধারন সম্পাদক তাপস দত্ত বাদুরা হাট দুর্গা মন্দিরের সভাপতি রেপতী মোহন বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি ওখানে যাতে পূজা উদযাপন হয় সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় পর্যায় এবং প্রশাসনের সাথে আমরা আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছি । আমরা আশা করছি অতিদ্রুত একটা সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, দেশরত্ন জননেত্রী মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।