রানা পটুয়াখালী ঃপটুয়াখালীর জেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনয়িম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১২ টায় পটুয়াখালী সদর উপজলোর মাদারবুনিয়া ইউনিয়নে মাদার বুনিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র। ২০০০ সালে শুরু হয় দাখিল মাদ্রাসাটির শিক্ষা র্কাযক্রম। ২০ বছর পর যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হয় এমন সময় উঠে আসে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন অনিয়মের কথা।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করনরে জন্য যে নীতি মালার প্রয়োজন, প্রতিষ্ঠানটিতে নেই তার বেশির ভাগ নীতি মালার ব্যাবহার, ধরা পরে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতি চিত্র।
কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলে শিক্ষা কার্যক্রম।চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী না থাকায় বেশীরভাগ সময়েই তোলা হয়না জাতীয় পতাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ১৫ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলওে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৩জন শিক্ষক, ৩ জন দপ্তরি থাকার কথা কিন্তু উপস্থিত পাওয়া যায়নি কাউকে। মাদ্রাসায় মোট ৩৫০জন শির্ক্ষাথীর মধ্যে উপস্থিত পাওয়া যায় মাত্র ২০জনকে হাজিরা খাতায় শিক্ষক ও শির্ক্ষাথীর উপস্থিত জানতে চাইলে তিনি বলনে খাতা ঢাকা ফেলে এসেছি আবার কখনো বলে হারানো গিয়াছে অপরদিকে উপস্থিত শির্ক্ষাথীরা জানান আজ ২৯/১০/২০১৯ তারিখে তাদের হাজিরা খাতা রোল কল করা হয়েছে কিন্তু মাদ্রাসা র্কতিপক্ষ দেখাতে পারেনি কোন হাজিরা খাতা,দেখাতে চায়নি শিক্ষকদের হাজিরা খাতাও।
আর প্রধান শিক্ষক নিজের পরিবারের ৩ জনকেই নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। মিজানুর রহমান নামে একজনকে কখনো বলে শিক্ষক আবার কখনো বলে দপ্তরি। আর মিজানুর রহমান নিজেও জাননে না তিনি কোন পদে আছেন।
স্থানীয়রা বলেন আমরা এযাবৎ তিন থেকে চার জন শিক্ষককে পাঠদান করতে দেখেছি তবে তারা নিয়মিত কিনা তা আমরা সঠিক জানিনা ।
এ বিষয় জেলা শিক্ষা অফিসার মো: মাহামুদ জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ যদি কোন তথ্য গোপন করে থাকে তাহলে আমরা তার সঠিক ব্যবস্থা নিবো, এবং তা উপরস্ত র্কতৃপক্ষকে জানাবো, তিনি আরো বলেন একজন শিক্ষক একই সময় দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারেন না আর যদি কেউ করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারন এটা বেআইনি ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জনাব মো: মতিউল ইসলাম চৈাধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকের উন্নয়ন তিনি কাজ করেন তিনি ইতি মধ্যে দেশের দুই হাজার সাতশত ত্রিশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করেছেন, মাদারবুনিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা যদি কোন অনিয়ম করে থাকে তবে আমরা তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিবো। এবং শিক্ষা মনন্ত্রানালয় তার বিরোধ্যে জানাবো এবং আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।