রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ



পটুয়াখালীতে মুজিববর্ষ ২০২০ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:২৭ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

পটুয়াখালীতে মুজিববর্ষ ২০২০  ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ” মুজিববর্ষ ২০২০ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক দরবার হলে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) মোঃ জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী আলমগীর, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন মৃধা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতী, অফিসার্স ইনচার্জ তদন্ত খন্দকার জাকির হোসেন, জেলা শিক্ষ অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রেসক্লাবের আহবায়ক স্বপন ব্যানার্জী, দৈনিক সাথী সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও পৌর কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন আকন, সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্সসহ অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর প‚র্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “আমার ইচ্ছা, আমরা একদম বছরব্যাপী, ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল- এই এক বছর এই বর্ষটাকে মুজিব বর্ষ হিসেবে পালন করব। এই কর্মস‚চি সম্পন্ন হবে স্বাধীনতার সুর্ণজয়ন্তী ২০২১ সালের ২৬ মার্চ।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে ব্যাপকভাবে। এ আয়োজনে সকল বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। শিশু, তরুণ, যুবক- সকলের জন্য আলাদা কর্মস‚চি থাকবে। আয়োজনের বিস্তৃতি থাকবে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যন্ত।
বছরব্যাপী এই কর্মস‚চিতে আওয়ামী লীগের সকল সংগঠনকে সম্পৃক্ত করার কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের ‘জ্ঞানী-গুণী’ ব্যক্তিদেরও এতে সম্পৃক্ত করা হবে।
জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকীর কর্মস‚চি যেন সরকারিভাবে পালিত হয়, সেজন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকেও নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
“জাতির পিতা রক্ত দিয়ে ঋণ শোধ করে গেছেন। তার রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন,“আমরা নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের পাশে আছি। শোষিত মানুষকে বঞ্চনা থেকে মুক্তি দেওয়াই তো আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্ন প‚রণ করার পথেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মস‚চি, জেলহত্যা দিবসের কর্মস‚চিসহ অন্যান্য কর্মস‚চি মুজিব বর্ষের কর্মস‚চির সঙ্গে সমন্বিতভাবে পালিত করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকাশনাও থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের একটি সঙ্কলন প্রকাশ করা হবে।
“৪৭টি ফাইলের ৩০ হাজার পাতাকে নয় হাজার পাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এটা ১৪টি খÐের একটি সঙ্কলন হবে।ৃ এই রিপোর্ট পড়লে বাংলাদেশের ইতিহাস জানার কিছু বাকি থাকে না।”
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নিয়েও কয়েকটি খÐের একটি সঙ্কলন প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে এর ছাপার কাজ চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত হবে ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা’। এর ইংরেজি অনুবাদের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।
বাঙালির স্বাধীনতার মহানায়ক
টুঙ্গিপাড়ায় এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান স্কুল জীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কৈশোরে তার রাজনীতির দীক্ষাগুরু ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন শেখ মুজিব।
ম্যাট্রিকুলেশন পাসের পর কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ তৎকালীন প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন।
ওই সময় থেকেই নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন, যোগ দেন আওয়ামী মুসলিম লীগে, যা পরে অসা¤প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আওয়ামী লীগ নাম নেয়।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত তিনি বারবার কারারুদ্ধ হন।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন জনদাবি আদায়ের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শেখ মুজিবকে বারবার কারাগারে যেতে হতে হয়েছে। আর আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ তাকে নিয়ে যায় বাঙালির নেতৃত্বে।
আওয়ামী লীগপ্রধান হিসেবে ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন তিনি, যার ফলে ১৯৬৮ সালে তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারারুদ্ধ হতে হয়।
১৯৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের ম্যান্ডেট লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির এ নির্বাচনী বিজয়কে মেনে নেয়নি।
এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলনে রূপ দেন। ’৭১-এর মার্চে শুরু করেন অসহযোগ আন্দোলন।
৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে তার ঘোষণা ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বাঙালিকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পথে ধাবিত করে।
১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করার পর সে রাতেই বন্দি হন বঙ্গবন্ধু। তবে তার আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।
মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে অন্তরীণ থাকলেও তার নামেই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি অন্যদিকে স্বাধীনতা ঘোষণা ও বিদ্রোহের অভিযোগ এনে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে গোপন বিচারের নামে প্রহসন শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে।
নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় আসে। এরপর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি তিনি পা রাখেন স্বাধীন ভ‚মিতে।
সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের দায়িত্বভার নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, যদিও ওই সময়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থেমে ছিল না।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় কর্মস‚চি ঘোষণা করেন, গঠন করেন বাকশাল; যার ফলে দেশে অন্য সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়, চারটি সংবাদপত্র ছাড়া অন্য সব সংবাদপত্রও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তার কিছু দিনের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট এক দল সেনা কর্মকর্তার হাতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু।
যে দেশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথ কিংবা কারাগারে যার জীবন কেটেছে, সেই দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে অবসান ঘটে স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়কের এবং তা বাঙালিরই হাতে।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান উপদেষ্টা : প্রফেসর শাহ্ সাজেদা ।

উপদেষ্টা সম্পাদক : সৈয়দ এহছান আলী রনি ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।

যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল।

ইমেইল: [email protected]

মোবাইল: 01713799669/01711358963

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি।
© বরিশাল খবর সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  নলছিটির মগড় ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চান মোঃ সাইফুজ্জামান সুমন তালুকদার   প্রাণ ফিরছে বরিশাল নগরীর ৭ খালে   বেতারের সঙ্গীত শিল্পী (পল্লীগীতি) হিসেবে মনোনীত হলেন অ্যাড: জুয়েল   বরিশালের মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষিকা স্ট্যান্ড-রিলিজ !   বরিশাল ল’ কলেজে দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ   অনিয়ম দুর্নীতির আতুরঘর বরিশাল বেতার : চলছে জোড়াতালি দিয়ে   বরিশাল ডাকঘরের ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ   দেড় লাখ মামলা মাথায় বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর   আলু শুন্য বরিশালের পাইকারী বাজার   বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি শুরু   মাদারীপুরের হিমাগারে ৩০ হাজার বস্তা, বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট   যুদ্ধ স্যাংশন সংঘাতের পথ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান   Mamunur Rashid Nomani charged with violating Bangladesh’s Digital Security Act   ঝালকাঠিতে রোহিঙ্গা আটক এসেছিলো ভোটার হওয়ার জন্য   সাঈদুর রহমান রিমনকে নিয়ে দিলিপ কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্রের জবাব!   বাবুগঞ্জে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের চার সদস্য আটক   নলছিটিতে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ   অপরাধ ঘটাতে আগাম ‘রেকি‘ করে গেছেন তারা!   ঝালকাঠি কারাগার: কু-প্রস্তাবের দাম দশ লাখ টাকা! জেলার বহাল তবিয়তে   রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির আখড়া