চাঞ্চল্যকর এসিড মামলা থেকে রেহাই পেতে এসিড আক্রান্ত ভিকটিম বৃদ্ধা নিলুফা ও তার পরিবার সদস্যদেরকে আসামীরা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ইয়াবা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধার ছেলে নান্নু ফকির।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামের নান্নু ফকির তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০০৬সালের পহেলা মার্চ তারিখে আসামী জাহাঙ্গীর হাওলাদার, সেলিম হাওলাদার ও আজিজ শরীফসহ অন্যান্যরা মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে নান্নু’র পরিবারের সদস্যদের উপর এসিড নিক্ষেপ করলে নান্নুর মা নিলুফা বেগম, নানী গুলবানু, ভাইসহ কয়েকজন এসিডদগ্ধ হয়। এসিডে আক্রান্তদেরকে বরিশাল ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিছুদিনপর তার নানী গুলবানু (৮৫) চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।
এরমধ্যে কয়েকদফা মামলা করতে গেলে আসামীদের ভয়ভীতি ও হুমকী ধামকির কারণে অসহায় পরিবারটি ১৩ বছরে কোন মামলা করতে পারেনি। এমনকি আসামীদের ভয়ে ১৩ বছর এলাকা ছাড়া ছিল এসিডদগ্ধ ভুক্তভোগী পরিবারটি। দীর্ঘ ১৩বছর পর নান্নু ফকির সাবালক হলে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে আসামীদের বিরুদ্ধে এসিড আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন নিলুফা বেগম। এ মামলার ১৮দিন পর গত ১২অক্টোবর ভরদুপুরে নিলুফা বেগমকে গোসল করারত অবস্থায় ভিজা কাপড়ে অর্ধবস্ত্র অবস্থায় জোরপূর্বক টানাহেচড়া করে ধরে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ঘরে ইয়াবা রেখে ইয়াবা দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোক দিয়ে গ্রেপ্তার করায় আসামী থানার চৌকিদার জাহাঙ্গীর হাওলাদার, সেলিম হাওলাদার, আজিজ শরীফ, মজিদ শরীফখালৈক পাহলান, হাবিব ফকিরগং।
নান্নু আরো জানান, এসিড মামলার আসামী আজিজ শরীফকে ওই মাদক মামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে প্রধান স্বাক্ষী রাখা হয়েছে। তার অভিযোগ, আসামীরা এসিড মামলা থেকে রক্ষা পেতে এবং মামলাটি তুলে নিতেই পরিকল্পিতভাবে তার বৃদ্ধা মা নিলুফা বেগমকে চার পিচ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার
দেখিয়ে ইয়াবা মামলা সাজিয়ে কোর্টে প্রেরন করা হয়। নিলুফা বেগম বর্তমানে কারাগারে আহাজারি করে দিন কাটাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে নান্নু ফকির তার মাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে এসিড মামলার আসামীদের কর্তৃক পরিকল্পিত ইয়াবা মামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা ইয়াবা মামলা থেকে মুক্ত এবং এসিড মামলার আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।