সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিষেধাজ্ঞার সময়ে প্রত্যেক জেলের জন্য ৫৬ কেজি করে চাল (ভিজিএফ) বরাদ্দ করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে ১৪৫২৩জন। তার মধ্যে ৮৮০৪ জন সামুদ্রিক জেলে। সমুদ্রে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞার এসময় ৮৮০৪ প্রত্যেকে ৫৬ কেজি করে চাল পাবেন। এর মধ্যে লালমোহন সদর ইউনিয়নে সামুদ্রিক জেলের সংখ্যা ৩৫০, পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে ৮৫০জন, রমাগঞ্জ ইউনিয়নে ৩০০জন, ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে ১১০০ জন, ধলীগৌরনগর ইউনিয়নে ২০৭০জন, লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে ১৯৭০জন, চরভূতা ইউনিয়নে ৩৫০জন, কালমা ইউনিয়নে ২৫০ জন ও বদরপুর ইউনিয়নে রয়েছেন ১৫৬৩ জন।
ইতোমধ্যে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সামুদ্রিক জেলের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়ন গুলোতেও বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সামুদ্রিক এসব জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ অব্যাহত আছে, পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত সকল সামুদ্রিক জেলেই এ চাল পাবেন।