নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকটি গ্রামের মৃত মোবারক আলী হাওলাদারের ছেলে শুক্কুর আলী হাওলাদার এর বিরুদ্ধে নিজের ভাগ্নিকে যৌন হয়রানি করা ও কুপ্রস্তাব দেয়ায় থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায় শুক্কুর আলী হাওলাদারের বড় বোনের ছেলের সাথে মেজো বোনের মেয়ে (ছদ্মা নাম সুখির) সথে ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। কিন্তু শুক্কুরের ভাগিনা প্রবাসী হওয়ায় শুক্কুর আলী হাওলাদার বিভিন্ন সময় তার ভাগ্নিকে কুপ্রস্তাব দেয়। এবং ভাগ্নির নাম অপপ্রচার চালায় বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ভাগ্নির পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে জানায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শুক্কুর আলী হাওলাদার কে সমাজ থেকে বিতাড়িত করে অর্থাৎ তাকে এলাকার মুসুল্লিরা হাজি বাড়ির মসজিদে শুক্রবারের নামাজ পড়তে না যায় তার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাড়ি থেকে বাহির হলে বা প্রবেশ করলে পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন কোনও অনুষ্ঠানে তাকে কেউ দাওয়াত করবে না। এবং শুক্কুর আলী হাওলাদার সেখানে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সিদ্ধান্ত নেয়া ঝাড়ু পিটা এর পরে শুক্কুর বলেন সে আর কখনোই কাজ করবেন না। কিছুদিন অতিবাহিত হবার পরেই গত চার তারিখে নতুন করে আবার কুপ্রস্তাব দেয়। ভাগ্নি বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তারা ঝালকাঠি সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান বিষয়টি সম্পর্কে নলছিটি থানা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। নজরানা পুলিশ শুক্কুর আলী ও তার ভাগ্নির পরিবারকে থানায় নিয়ে আসলে শুক্কুর আলী হাওলাদার সেখানে থানায় বসে পুলিশের হাত পা ধরে ক্ষমা চায় এবং পরবর্তীতে আর এ ধরনের অনৈতিক কাজ করবে না বলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে আসেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এই শুক্কুর আলী ও তার ছেলে মিরাজ হাওলাদার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অনিয়মের অভিযোগ আছে । এই শুকুর আলী হাওলাদার ও তার ছেলে ভুয়া এনজিওর পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
সে কিছুদিন পূর্বে একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনে এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে এবং তাদের টাকা ভুয়া এনজিওর নামে আত্মসাৎ করে মারধর করেন পরবর্তীতে মিরাজ সেখান থেকে কোনরকম পালিয়ে গিয়ে জীবন রক্ষা করেন এই মিরাজ। এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ওসি তদন্ত আব্দুল হালিম বলেন শুক্কুর হালদারের ভাগ্নিকে প্রস্তাব দেয়ায় অভিযোগে তাকে থানায় ধরে নিয়ে আসলে সে ভাগ্নির পরিবারের হাত পা ধরে মাফ চাইতে জীবনে আর কোনদিন এরকম কাজ করবে না এবং আমাদের সম্মুখে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেখা দেন যে পরবর্তীতে এ রকম খারাপ কাজ করেন তাহলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে ।