নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি দমন কমিশন প্রভাবশালী ৭১ দুর্নীতিবাজের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে।
এরা ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত।
তালিকাভুক্তদের ভিতর নাম প্রকাশ পেয়েছে
সরকারি দলের এমপির বরিশাল-৪ আসন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ। পাশাপাশি তাদের স্ত্রী-সন্তান, নিজস্ব কোম্পানির ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। এর আওতায় চলতি মেয়াদি হিসাবের স্থিতি, লেনদেন বিবরণী ও ভল্ট যদি থাকে সেই তথ্য দুদককে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। রবি ও সোমবার ২ দিন আলাদা চিঠিতে ৭১ জনের নাম পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, অনুসন্ধানের প্রয়োজনে অনেকের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তদন্ত টিম এ নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। তারাসহ অনেকের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। সে বিষয়েও তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। মূলত এর মাধ্যমে শুরু হয় দুর্নীতিবিরোধী অভিযান। এতে অনেকের সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসছে।
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতেও নানাভাবে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দুদক কর্মকর্তারা এরই মধ্যে বিএফআইউর প্রধান ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে বা দলের পদ-পদবি ব্যবহার করে যারা দুর্নীতি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে সামনে কোনো বাধা নেই বলে মনে করছে দুদক। দুর্নীতিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দুটি তালিকা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। তালিকায় রাজধানীর বাইরে জেলা পর্যায়ের অনেকের নামও থাকতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।