সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনার গন্ধে অতিষ্ঠ স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ জনসাধারন। ময়লা আবর্জনার স্ত‚প থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ থেকে স্কুল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক রেহাই পাচ্ছে না। ফলে দুর্বিষহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলার মানুষ। উপজেলার সাধারণ মানুষের দাবি ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
উপজেলা বাজারের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, দশমিনা, নলখোলায় ও চরহোসনাবাদে নেই কোনো ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় ব্রীজের নিচে ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে। তীর্বভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ময়লা-আবর্জনার গন্ধ । দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ব্যবসায়ী ও পথচারীরাও। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হয়ে নলখোলা-দশমিনা যোগাযোগের ব্রীজের নিচে দু’পারে ময়লার স্ত‚প করে রাখার কারণে পুরো শহরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। ময়লার স্ত‚পের কারণে জোয়ার ভাটার খালের পানি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওই পানি উপজেলার শহরের মানুষ তাদের সব কাজে ব্যবহার করে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। মাছ বাজার, কাচা বাজার ও রেস্টুরেন্টের বর্জ্য ব্রীজের নিচে দু”পারে ফেলায় সংযোগ সড়ক দিয়ে দুর্গন্ধে পথচারি হাঁটাচলা করতে পারে না। প্রতিদিন মানুষ ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখে। ওই একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ও এ.আর.টি কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়া করতে হয়। আর দশমিনা-চরহোসনাবাদ ব্রীজের পাশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতেও পারেনা। অগ্রানী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দক্ষিন পাশে নতুন ব্রীজের দুইপারে নিচেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে স্থানীয় জনসাধারণের বসবাস করা দুঃসহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দশমিনা-চরহোসনাবাদ ব্রীজের দুইপারে নিচে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের ক্লাস ও স্থানীয় জনসাধারণের বসবাস করা দুঃসহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নলখোলার বাসিন্দা সঞ্জয় সাহা, আদিত্যৎ শীলসহ অনেকে বলেন, নলখোলা-দশমিনা বাজারে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। বাতাস বেশি থাকলে ঘরের ভেতরে পর্যন্ত দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। আমরা একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়েছি। এখানে বিক্রেতারা যত্রতত্র ময়লা ফেলছে। ফলে দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না পথচারী ও বাসবাসকারীরা। বাজার থেকে অনেক দূরে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য জোর দাবি জানান তারা। মডেল সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তী সাহা-৮ম শ্রেনী, চন্দন সাহা-৮ম শ্রেনী, অর্থী সাহা-৬ষ্ঠ শ্রেনী, স্বার্ন দেবনাথ-১০ম শ্রেনী জানায়, ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসায় গন্ধে সমস্যা হচ্ছে।
দশমিনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ্যাড. ইকবাল মাহামুদ লিটন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো স্থান নির্ধারণ করতে পারিনি, যেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হবে। আমরা সবাই মিলে একটা নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার চেষ্টা করব, যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস বলেন, উদ্যেগ নেয়া হয়েছে আর ময়লা-আবর্জনা ফেলানোর জন্য খাস-জমি নির্ধারনের চেস্টা চলছে। খুব তারাতারি দুটি ভ্যান গাড়ী নির্মান করা হবে। ময়লা আবর্জনা নির্ধারিতস্থানে ফেলাতে দু”জন লোক দেয়া হবে তাদের প্রতি দোকান ৫০টাকা করে পরিশোধ করবে।