স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায় জামাত নেতার অলৌকিক ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে এক সাবেক সেনা সদস্য।ক্ষমতার দাপটকে পুঁজি করে ভোগান্তিতে ফেলেছে ঐ সাবেক সেনা সদস্য’র পরিবারকে। মিথ্যা মামলা,মারধর ও নাজেহালের হুমকি দেয়ার ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অসহায় পরিবারটি।গুম-খুন হয়ে যাবার ভয়তে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারটি। টাকা ও ক্ষমতার কাছে ভীত আব্দুল খালেক।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, দপদপিয়া গ্রামের মৃত্যু আব্দুল হাসিদ হাওলাদারের পুত্র সাবেক সেনা সদস্য মোঃ আব্দুল খালেক হাওলাদার তার নিজ ভুমিতে ইমারত নির্মানকালে জামাত নেতা দপদপিয়া ইউনিয়নের মৃত আব্দুল গহুর মোল্লার পুত্র শাজাহান মোল্লা, সাজাহান মোল্লার পুত্র বাচ্চু মোল্লা,আব্দুল গনি মোল্লার পুত্র মোঃ সালাহ উদ্দিন মাসুম মোল্লাসহ একদল লোক বাধাঁ প্রদান করেন এমনবি সরকারি পিলার উল্টে ফেলেন। এছাড়া তারা আব্দুল খালেক,তার মেয়ে শাহানাজ পারভিন ও মেয়ে জামাই মিজানুর রহমানের হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। ধারাবিক হুমকির ঘটনায় আব্দুল খালেক নলছিটি থানায় এবটি সাধারন ডায়েরী করেন। যার ডায়েরী নম্বর ৯৪৬। জামাত নেতারা বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখাানোর ফলে চরম নিরাপত্তাহহীনতায় ভুগছেন আব্দুল খালেকের পরিবার। জমি মাপঝোপ ছাড়াই তারা এসব কর্ম করলে পুলিশ মাপঝোপ করার কথা বললেও জামাত নেতা সালাহউদ্দিন মাসুম,সাজাহান মোল্লা গংরা মানতে নারাজ।তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আব্দুল খালেক বলেন,আমাদের ভুমিতে কেন আমরা ইমারত নির্মান করতে পারবোনা। এটাকি মগের মুল্লুক? তিনি বলেন, আমি একজন সেনা সদস্য। পাকিস্তানে জাতির জনক যখন আটক ছিলেন তখন আমিও পাকিস্তানে আটক ছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমাদের আটক থেকে মুক্ত করে দেশে এনেছেন। এই স্বাধীন দেশে এবং স্বাধীনতা স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে একটি দেশ বিরোধী দলের জামাত শিবিরের লোকদের হুমকিতে এখন আমি অসহায় হয়ে পড়েছি।
সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝালকাঠীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাপঝোপ করে বিষয়টি নিজেদের মধ্য মিসাংশা করার নির্দেশ দিলেও তা মানতে নারাজ ঐ জামাত নেতারা।পরে তিনি আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নলছিটি থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
কারো কোন আদেশ মানছেন না তারা। জসি দখলের পায়তারা ও দখলের চেস্টা করে যাচ্ছে তারা। ইতিমধ্য আবেদনটি প্রশাসনের শীর্ষ দপ্তরে প্রেরন করেছেন আব্দুল খালেক।
লিখিত অভিযোগে আব্দুল খালেক প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সেই সাথে তিনি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করেছেন।