স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভগ্নিপতি ও শ্যালক সহ ৫ জন কে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে রিয়াজ বাহিনী ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা।
গত মঙ্গলবার দুপুর একটায় জিরো পয়েন্টের বকুলতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, মোতাহার শরীফের ছেলে লিটন শরীফ ও তার শ্যালক সোহাগ হাওলাদার, ভাগিনা হাসান, হাসিব, ও বেয়াইন পারুল বেগম।
বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদের মধ্যে লিটন ও সোহাগের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক রয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।
ধারালো কোপের আঘাতে লিটন শরীফের মাথায় মারাত্মক জখম রয়েছে এবং রডের আঘাতে সোহাগের বাম পায়ের হাটুর নিচ ভেঙ্গে গেছে।
তবে লিটন শরীফের ধারালো কোপের আঘাতে ব্রেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে এমনটা জানিয়েছেন হাসপাতালের সার্জারি ৪ এর কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত লিটনের স্ত্রী মুন্নি বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে মুন্নি বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী আইয়ুব আলী ও তাদের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
বিরোধের জের ধরে প্রায় সময় আইয়ুব আলীর ছেলে রিয়াজ সহ তাদের সহযোগীরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মুন্নি বেগম ও তার পরিবারের উপর বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
সম্প্রতি মুন্নি তার পৈতৃক সম্পত্তিতে বিল্ডিং নির্মাণ করেন, ঘটনার দিন মঙ্গলবার নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর সেন্টারিং কিছু কাঠ প্রতিবেশী আইয়ুব আলীর জমিতে পরে।
এ নিয়ে আইয়ুব আলী ও তার পরিবারের সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্নির স্বামী লিটন শরীফের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এরই জের ধরে, আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে তার ছেলে রিয়াজ, মিরাজ, সিরাজ, ইরাজ, গিয়াস সহ ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে লিটন শরীফের উপর হামলা চালায়। লিটনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়াদ সহ অন্যান্যরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।
লিটনের ডাক চিৎকারে শ্যালক সোহাগ হাওলাদার, ভাগিনা হাসান, হাসিব, বেয়াইন পারুল আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন রিয়াজ সহ অন্যান্যরা।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতের স্বজনরা জানান, বকুলতলা এলাকায় রিয়াজ বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ জুলুম অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আছে। কেউ এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলার শিকার হতে হয়।
এদিকে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে হামলাকারী আইয়ুব আলী সহ দুইজন নাটকীয় কায়দায় হাসপাতলে ভর্তি হয়।
এই ঘটনায় মামলা হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।