শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ



জেনে নিন গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য কিভাবে চাষ করবেন বিভিন্ন জাতের ঘাস
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

জেনে নিন গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য কিভাবে চাষ করবেন বিভিন্ন জাতের ঘাস

ঘাস হোল গবাদি পশু পালনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটি খামারের গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে অনেক খামারি আলাদা ভাবে পশুর জন্য ঘাস চাষ করেন। অনেক ধরনের ঘাসের মধ্যে জার্মান ঘাস অন্যতম।

জার্মান ঘাস এক ধরনের স্থায়ী ঘাস। এর কাণ্ডের গিটে শিকড় থাকে এবং পারা ঘাসের মতো লাগানোর পর ঘাসের লতা পুরো জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘাস গরুর খুব পছন্দ। দ্রুত বর্ধনশীল ও উচ্চ ফলনশীল এ ঘাস অাপনিও চাষ করতে পারেন।

প্রাপ্তিস্থান

জার্মান ঘাস থেকে ভালো বীজ উৎপাদন হয় না। তাই কাটিং ও মোথা দ্বারা বংশ বিস্তার করতে হয়। জেলা বা উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসে বিনামূল্যে কাটিং বা মোথা বিতরণ করা হয়। সেখান থেকে সংগ্রহ করে চাষ করতে পারেন।

জমি নির্বাচন

জার্মান ঘাস নিচু ও জলাবদ্ধ জমিতে চাষ করা যায়। এমনকী জমানো পানিতে চাষ করা যায়। যে সব জমিতে সারা বছর পানি থাকে অথবা কিছুকাল ডুবে থাকে, সে সব জমিতে এ ঘাস চাষ করা যায়। এছাড়া খাল, বিল, মজা পুকুর, নদীর ধার, ডোবা, নালা এই ঘাস চাষের জন্য উপযুক্ত।

চারা তৈরি

পরিপক্ক গাছের কমপক্ষে ৩টি গিট নিয়ে কাটিং করতে হয়। সমতল শুকনা জমিতে লাগালে কয়েকটা চাষ দিয়ে আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট দূরত্বে কোদাল দিয়ে গর্ত করে চারা বা কাটিং রোপন করতে হবে। কাটিংগুলো কাত করে অর্থাৎ ৪৫-৬০ ডিগ্রি কোণে এমনভাবে লাগাতে হবে যেন কাটিংয়ের একটি গিট মাটির নিচে, একটি মাটির সমান এবং অপর গিট মাটির উপরে থাকে।

রোপণ

মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ঘাস রোপণ করা হয়। রোপণের সময় সারি থেকে সারি গাছের দূরত্ব হবে ১-১.৫ ফুট।

সার প্রয়োগ

জার্মান ঘাস উর্বর জমিতে ভালো হয়। ভালো ফলনের জন্য জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গোবর দিতে হবে এবং চারা লাগানোর ২-৩ সপ্তাহ পর একর প্রতি ৪০ কেজি ইউরিয়া ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রতিবার ঘাস কাটার পর একর প্রতি ৩৫-৪০ কেজি ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

ঘাস কাটা

রোপণের ৫০-৬০ দিন প্রথম কাটার উপযোগী এবং এরপর প্রতি ৪/৫ সপ্তাহ পর পর কাটা যায়। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এ ঘাস মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ে। শীতকালে এ ঘাস তেমন বাড়ে না। এ ঘাস বছরে প্রায় ৫ বার কাটা যায়। উর্বর জমিতে ও ভালো ব্যবস্থাপনায় বছরে একর প্রতি ৩০-৪৫ টন সবুজ ঘাস পাওয়া যায়।

বাকসা ঘাসের চাষ পদ্ধতি

আসলে ইদানীং গরুর জন্য বেশ কিছু হাইব্রিড ঘাস পাওয়া যাচ্ছে আমাদের দেশে। হাইব্রিড জার্মান,ন্যাপিয়ার, পাকচং, CO4 কতো কি! কিন্তু যে যত কিছুই বলুক আমার আবার সাধারণ জার্মান (হাইব্রিড নয়), বাকসা, পারা এইসব ঘাস গরুর জন্য বেশী ভালো লাগে। এই জাতীয় ঘাস গুলি চাষ করার জন্য কোনো রকম ঝক্কি-ঝামেলা হয় না। তো,আপনাদের আমার পছন্দের ঘাস গুলির মধ্যে বাকসা ঘাসটা নিয়ে একটু আলাপ আলোচনা করবো এই পোস্টে!

বাকসা ঘাসটা কিন্তু এক ধরনের স্থায়ী ঘাস। এটা খুব মজাদার,পুষ্টিকর একটা ঘাস গরুর জন্য। খুব মজা করেই খায় গরু এই ঘাসটা! দেড়-দুই মিটার উঁচু হয় ঘাসটা। এই ঘাসটা এদেশের জন্য খুবই প্রযোজ্য একটা ঘাস। জলাবদ্ধতা, হঠাৎ করে বন্যা এই সব বিষয় গুলি এই ঘাসের উপর তেমন কোনো প্রভাবই ফেলতে পারে না! জলাবদ্ধ জমিতে উঁচু জমির চেয়ে আরো ভালো হয় এই ঘাস। উঁচু জমিতেও হয় এই ঘাস। মোদ্দা কথা এই বাকসা ঘাস প্রায় সব ধরনের জমিতেই হয়!

এই ঘাসের জন্য আসলে বিশেষভাবে জমি নির্বাচন করার প্রয়োজন পরে না বললেই চলে। উঁচু,নীচু,ঢালু,জলাবদ্ধ এমনকি লোনা মাটির জমিতেও এটা সহজেই হয়! বাকসা ঘাস লাগানোর আদর্শ সময় হচ্ছে সেপ্টেম্বর হতে অক্টোবর মাস বা আশ্বিন হতে কার্তিক মাস। সারি থেকে সারির দূরত্ব ১-১.৫ ফুট এবং এক কাটিং থেকে আরেক কাটিং এর দূরত্বও ১-১.৫ ফুট হবে। এটাই সোজা হিসাব রোপনের দুরত্বের!

বাকসা ঘাস কাটিং বা লতা থেকে বংশ বিস্তার করে থাকে। পরিপক্ক গাছের কমপক্ষে তিনটা গিঁট নিয়ে কাটিং তৈরী করতে হবে। উপরে উল্লেখিত রোপন দূরত্বের নিয়ম
মানলে একর প্রতি ২০,০০০টি চারা বা কাটিং লাগানো যাবে। জমিতে প্রথমে যদি লাংগল দিয়ে দেন তাহলে দুই চাষ, আর যদি পাওয়ার টিলার দিয়ে দেন তাহলে চারটা চাষ দিতে হবে। মই দিয়ে আগাছা মুক্ত করতে হবে।

এবার আসি কিভাবে রোপন করবেন এই বিষয়টা নিয়ে। আগে নির্দিষ্ট দুরত্বে গর্ত করবেন এবং প্রতিটা গর্তে ৩/৪ টি কাটিং তাতে ঢুকিয়ে দিবেন এবং তারপর ভালো করে মাটি চাঁপা দিয়ে দিবেন। একটা ব্যাপার অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে অন্তত কাটিং এর দুই গিঁট মাটির নীচে থাকে। ৩/৪ টি গিঁট একত্রে দিলে খুব ভালো মোথা হবে ঘাসের। কাটিং ছাড়া সম্পূর্ণ লতাও রোপন করা যায়।

এখন আলোচনা করি, গোবর, রাসায়নিক সার কি পরিমাণে দিবেন সেটা নিয়ে। জমিতে যখন বাকসা ঘাস লাগানোর চাষ দিবেন তখন একর প্রতি ৪০০০ কেজি গোবর দিবেন সাথে ৩৫ কেজি টি,এস,পি সার। ঘাস লাগানোর ২/৩ সপ্তাহ পরে একর প্রতি ৩০ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হবে। এরপর প্রতিবার ঘাস কাটার প্রক্রিয়া শেষ করার পর ৩০ কেজি ইউরিয়া দিতে হবে।

এবার বাকসা ঘাস কাটার নিয়মটা নিয়ে একটু আলোচনা করি। জমিতে চারা বা কাটিং লাগানোর ৬০-৭০ দিন পর প্রথম বারের মতো ঘাস কাটা যায় এবং এরপর প্রতি ৪-৫ সপ্তাহ পর পর ঘাস কাটা যায়। আপনি যদি জমির একপাশ থেকে ব্লক হিসাবে ঘাস কাটতে থাকেন তাহলে একটা ব্লকের ঘাস কাটা হয়ে গেলে সেই ব্লকে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে দিবেন। সাথে সাথে বাকী ঘাসের ব্লক গুলিও কাটা চলতে থাকবে। এই নিয়ম ধরে চললে পর্যায় ক্রমিক ভাবেই ঘাস উৎপাদনে নিরবিচ্ছিন্নতা থাকবে। কারণ,আপনার গরু কম থাকলে একদিনেই তো সব ঘাস কেটে গরুকে খাইয়ে দিতে পারবেন না।

দ্বিতীয় বার সার প্রয়োগের ক্ষেত্রেও হিসাব টা মাথায় রাখতে হবে। ধরুন,আপনি যদি জমিকে ছয়টা ব্লকে ভাগ করেন তাহলে প্রতি ব্লকের ঘাস কাটা হয়ে গেলে একটা ব্লকে ৫ কেজি ইউরিয়া দিতে হবে। এভাবেই সারের হিসাবটা করবেন। মাঝেমাঝে গোবর সারও দিতে পারেন।

আসল কথায় আসি এবার। বাকসা ঘাসের ফলন কেমন হয়?

এক একর জমি থেকে বছরে কমপক্ষে ১৮-২০ টন বাকসা গাস পাওয়া যায়।বাকসা ঘাস দিয়ে সাইলেজও হয়, এটাকে আবার ‘হে’ করেও রাখা যায়।

বাকসা ঘাসের পুষ্টিমান কেমন?

১ কেজি কাঁচা বাকসা ঘাসে ড্রাই মেটার ২৩১ গ্রাম,প্রোটিন ২১ গ্রাম ফাইবার ৭৪ গ্রাম,খনিজ ১.৯৪ গ্রাম এবং বিপাকীয় শক্তি ৪৯৫ কিলো ক্যালরি।

নেপিয়ার ঘাসের বীজ থেকে ঘাস চাষ পদ্ধতি

সামনে বর্ষা মৌসুম। এ সময় দেশের নিম্নভূমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এসব অঞ্চলের গরু-মহিষের জন্য ঘাস তো দূরের কথা, কয়েক মুঠো খড় জোটানোও কঠিন। এ সময় অভাবের তাড়নায় অনেকে গরু-মহিষ কম দামে বিক্রি করে দেন। অনেকের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া খাদ্যাভাবে দুর্বল হয়ে যায় ।

বর্ষা মৌসুমে বাড়ির পাশের জমিতে ধান উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পতিত জমিতে পানি ও আগাছা বেশি হয়ে থাকে। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই এরকম লাখ লাখ একর পতিত জমি সারা বছরই খালি পড়ে থাকে। একটু সচেতন হলেই আমরা এ জমিগুলো কাজে লাগিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করতে পারি । বর্ষা মৌসুমসহ সারা বছরই এ জমিগুলোতে নেপিয়ার জাতীয় ঘাস চাষ করে গো-সম্পদের প্রসার ঘটানো যায় । নেপিয়ার ঘাস পরিত্যক্ত জায়গায় ভালো জন্মে। লম্বায় তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। দুই সপ্তাহ অন্তর ঘাস কাটা যায়। নেপিয়ার ঘাস চাষ খুব সহজ এবং ব্যয়ও কম। গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া এ ঘাস খুব পছন্দ করে। তাই এরা সহজেই বেড়ে ওঠে।

নেপিয়ার ঘাস এর উপযোগী জলবায়ু ও ভূমি :

এ ঘাস সব ধরনের মাটিতেই জন্মে। তবে বেলে দো-আশ মাটিতে এর ফলন সবচেয়ে বেশি। এ ঘাসের জন্য উঁচু জমি ভালো। বন্যা প্রস্তাবিত জমি এ ঘাস চাষের জন্য অনুপযুক্ত। বাংলাদেশের আবহাওয়া নেপিয়ার ঘাস চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত।

জমি নির্বাচন:

পানি নিষ্কাশনের জন্য ভাল ব্যবস্থা আছে অর্থাৎ যেখানে বৃষ্টি বা বর্ষার পানি জমে থাকে না এরূপ জমি নেপিয়ার চাষের জন্য উত্তম। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই এ ঘাস রোপন করা যায়, তবে বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

চাষের সময়ঃ

নেপিয়ার ঘাসের বীজ সারা বৎসরই রোপন করা যায়। প্রচন্ড শীত এবং বর্ষার পানির সময় বাদে সব সময় বীজ বপন করা যায় তবে কাটিং এর ক্ষেত্রে সাধারণতঃ বর্ষার প্রারম্ভে এই ঘাসের কাটিং বা চারা রোপন করা হয়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ্য মাসে প্রথম বৃষ্টির পর জমিতে চারা বা কাটিং লাগালে প্রথম বছরেই ৩/৪ বার পর্যন্ত ঘাস কাটা যেতে পারে। চারা বা কাটিং লাগানোর পর যদি রৌদ্র হয় বা মাটিতে রস কম থাকে তাহলে চারার গোড়ায় পানি সেচ দিতে হবে।

চাষ পদ্ধতি :

এ ঘাস চাষের জন্য জমিতে চার থেকে পাঁচটি চাষ দিয়ে এবং মই দিয়ে আগাছামুক্ত করার পর রোপণ করতে পারলে উত্তম।

জমি প্রস্তুতের সময় :

১.৫০ থেকে ২.০০ টন জৈবসার- প্রতি একরে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এছাড়া রাসায়নিক সারের মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপি ও পটাশ ইত্যাদি সার ব্যবহার করতে পারেন।

বীজ বপনঃ প্রথমে বীজ ১-২ ঘন্টা মিষ্টি রোদে শুঁকিয়ে তারপরে নরমাল করে ২৪-৪৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন তারপরে জমিতে ছিটিয়ে দিন। পরবর্তী ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে বীজ জার্মিনেশন হয়ে যায়। চারা ৩-৪ ইঞ্চি হবার পরে একটি সেচ দিতে পারলে ভালো।

সার প্রয়োগ ও পানি সেচ :

ভালো ফলন ও গাছের বৃদ্ধির জন্য সার এবং পানির প্রয়োজন। বর্ষা মৌসুমে পানি সেচের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু অন্য সময়ে সাধারণত পানি সেচের প্রয়োজন হয় এবং ইউরিয়া ১৫০ কেজি, টিএসপি ৮০ কেজি, ও এমওপি ৭০ কেজি সার প্রয়োগ করতে হবে।

ঘাস কাটার পদ্ধতি:

বীজ থেকে চারা হবার পর থেকে ৩৫-৪০ দিন পর প্রথমবার ঘাস সংগ্রহ করা যায়, মাটির ৫-৬ ইঞ্চি উপর থেকে ঘাস কাটতে হয়।তিন সপ্তাহ পরপর পুনরায় ঘাস কাটা যায়। প্রথম কাটিং-এ ফলন একটু কম হলেও দ্বিতীয় কাটিং থেকে পরবর্তী ২/৩ বছর পর্যন্ত ফলন বাড়তে থাকে। এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে। পরে পুনরায় বীজ অথবা কাটিং বা মোথা লাগাতে হবে। প্রত্যেকবার ঘাস কাঁটার পর একর প্রতি ৬০-৭০ কেজি ইউরিয়া, ৪০-৫০ কেজি টিএসপি, ৪০-৫০ কেজি এমওপি এবং ২-৩ টন গোবর/ কম্পোস্ট সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।

খাওয়ারনোর নিয়মঃ

জমি থেকে ঘাস কাটার পর ঘাস যাতে শুকিয়ে না যায় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। আস্ত ঘাস গবাদিকে খেতে দিলে অপচয় বেশি হয়। তাই মেশিন, দা অথবা কাঁচি দ্বারা ২-৩ ইঞ্চি লম্বা করে কেটে খাওয়ানো ভাল। এই কাটা ঘাস খড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এ ছাড়া দুই থেকে তিন ইঞ্চি করে কেটে খড়ের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়ানো যায়। নেপিয়ার ঘাসে শতকরা ৭-১২ ভাগ প্রোটিন আছে।

নেপিয়ার ঘাস শুকিয়ে সংরক্ষণ করা সুবিধাজনক নয়। তবে কাঁচা ঘাস সাইলেজ করে শুষ্ক মৌসুমে সংরক্ষণ করা যায়।

সতর্কতা:

নেপিয়ারের জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগের পর অনেক দিন খরা হলে ইউরিয়া হতে নাইট্রেট বা নাইট্রাইট ঘাসের মধ্যে উৎপন্ন হতে পারে এবং পরবর্তীতে অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ার পর দ্রুত বেড়ে ওঠা এই ঘাস কেটে খাওয়ানো ঝুকিপূর্ণ। এতে বিষক্রিয়া হতে পারে।

ঘাস কাটার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করলে বিষক্রিয়ার প্রভাব থেকে গবাদিপশুকে মুক্ত রাখা যায়।

(১) জমিতে সার ছিটাবার ২ সপ্তাহের মধ্যে ঘাস কাটা উচিত নয়।
(২) সার ছিটাবার পরে দীর্ঘ দিন খরা থাকার পর হঠাৎ অধিক বৃষ্টিপাতের পর দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া ঘাস কেটে খাওয়ানো উচিত নয়।

(৩) ঘাস কাটার একমাস পূর্বে সার ছিটানো উচিত।

নেপিয়ার উচ্চ ফলনশীল ঘাস। এই ঘাস চাষের মাধ্যেমে গবাদিপশুর কাঁচা ঘাসের চাহিদা মিটানো সম্ভবপর। কাঁচা ঘাস/সাইলেজের ব্যবহার যথাযথভাবে করতে পারলে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে যা দ্বারা ক্রমান্বয়ে দেশের দুধের চাহিদা মিটানো সম্ভব। সম্প্রতি আমাদের দেশে দুধের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে দুধ উৎপাদন বাড়লে কৃষকের যেমন আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে তেমনি দেশের আর্থিক অবস্থারও উন্নতি ঘটবে।চাষিরা যাতে ঘাসের কাটিং বা চারা সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য প্রতিটি উপজেলায় ঘাসের চারা বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান উপদেষ্টা : প্রফেসর শাহ্ সাজেদা ।

উপদেষ্টা সম্পাদক : সৈয়দ এহছান আলী রনি ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।

যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল।

ইমেইল: [email protected]

মোবাইল: 01713799669/01711358963

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি।
© বরিশাল খবর সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  নলছিটির মগড় ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চান মোঃ সাইফুজ্জামান সুমন তালুকদার   প্রাণ ফিরছে বরিশাল নগরীর ৭ খালে   বেতারের সঙ্গীত শিল্পী (পল্লীগীতি) হিসেবে মনোনীত হলেন অ্যাড: জুয়েল   বরিশালের মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষিকা স্ট্যান্ড-রিলিজ !   বরিশাল ল’ কলেজে দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ   অনিয়ম দুর্নীতির আতুরঘর বরিশাল বেতার : চলছে জোড়াতালি দিয়ে   বরিশাল ডাকঘরের ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ   দেড় লাখ মামলা মাথায় বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর   আলু শুন্য বরিশালের পাইকারী বাজার   বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি শুরু   মাদারীপুরের হিমাগারে ৩০ হাজার বস্তা, বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট   যুদ্ধ স্যাংশন সংঘাতের পথ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান   Mamunur Rashid Nomani charged with violating Bangladesh’s Digital Security Act   ঝালকাঠিতে রোহিঙ্গা আটক এসেছিলো ভোটার হওয়ার জন্য   সাঈদুর রহমান রিমনকে নিয়ে দিলিপ কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্রের জবাব!   বাবুগঞ্জে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের চার সদস্য আটক   নলছিটিতে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ   অপরাধ ঘটাতে আগাম ‘রেকি‘ করে গেছেন তারা!   ঝালকাঠি কারাগার: কু-প্রস্তাবের দাম দশ লাখ টাকা! জেলার বহাল তবিয়তে   রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির আখড়া