সঞ্জিব দাস, গলাচিপা, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দূর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা হিসেবে চিহ্নিত হলেও পটুয়াখালী জেলার দুই বিস্তীর্ণ উপজেলা গলাচিপা ও রাঙাবালীতে নেই কোনো আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় সঙ্কেত নির্ণয় করা তো দূরের কথা, বৃষ্টিপাতের পরিমান, বাতাসের গতিবেগ নির্ণয়েও নেই কোনো ব্যবস্থা। এই কারণেই বন্যা হলেই প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ধারণার বাহিরে চলে যায়। তাই মানুষের জীবন রক্ষার্থে অতি দ্রুত আবহাওয়া অফিস স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে দাবী জানিয়েছে দুই উপজেলাবাসী।জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেসে অবস্থিত পটুয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী অন্যতম। গলাচিপা উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ লোকজন বসবাস করে। রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের পৌনে ২লক্ষ লোক বাস করে। প্রতিবছর কমপক্ষে ১/২টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় এসব এলাকায় আঘাত হানে। বিগত দিনগুলোতে ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, রোয়ানু, মোরা ও সর্বশেষ ফণী আঘাত হানে উপকূলবর্তী এসব অঞ্চলগুলোতে। এতে ব্যাপক প্রাণহানী সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়। কিন্তু এখানে কোনো আবহাওয়া অফিস না থাকায় ঢাকা থেকে আবহাওয়ার বার্তা সংগ্রহ করে জনগনের কাছে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, ঢাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে যে সময় লাগে ততক্ষণে পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। কোনো কোনো সময় সাধারণ জনগন আবহাওয়ার সঠিক বার্তাও পায় না। তথ্যে থাকে ভুল ভরা। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দ্বিগুনও ছাড়িয়ে যায়। বিশেষ করে সাগর ও নদীতে মাছ ধরা ট্রলার গুলো সঠিক তথ্য পৌঁছানো যায় না বলে প্রতিবছর প্রায় ৩০ থেকে ৪০জন জেলে ট্রলার ডুবে মারা যায়। তাই ঘূর্ণিঝড় প্রবণ অঞ্চলগুলোতে অতি দ্রুত আবহাওয়া অফিস স্থাপনের দাবী করছে এলাকাবাসী।