গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় হয়রানী মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দেশ ছাড়ার পায়তারা করছে আঃ মান্নান হাং (৫০)। মান্নান হাং হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড় গাবুয়া কারু খা স্ট্যান্ডের কালীরচর গ্রামের ছোবাহান হাং এর ছেলে। প্রতিপক্ষ হচ্ছেন একই গ্রামের জয়নাল গাজীর ছেলে মোঃ হায়দার গাজী। মামলাসূত্রে হায়দার গাজী জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে আমাদেরকে মামলায় ফাসিয়েছে এবং গলাচিপা থানায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি হাইজ্যাক মামলা করেন। যার মামলা নং ০৬/১৯। এতে ৭ জনকে আসামী করে মামলা করেন। তিনি আরও বলেন, জমি জমার জেরে আঃ মান্নান হাং একের পর এক মামলা করে আসছেন। তার মামলায় আমরা অতিষ্ঠ। এ বিষয়ে সাহেব আলী বলেন, মোসাঃ হাসিনা বেগম ও আঃ মান্নান হাং জমিজমার জেরে আমাদের গ্রামে অনেক মানুষকে বাড়িছাড়া করেছে। এখন আমাদেরকেও বাড়ী ছাড়ার পায়তারা করছে। এ বিষয়ে মোঃ মিজান গাজি বলেন, গত ৩ অক্টোবর গরু বিক্রির কথা বলে যে মামলাটি করে আমাদের বিরুদ্ধে হয়রাণী মামলা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন নজরে নিলে এর সঠিক তদন্ত বেরিয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন, আমদের বিরুদ্ধে আমাদের একই গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ হাসিনা বেগমকে দিয়ে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হয়রাণী মামলা করেন। যার মামলা নং ৫৬৫/১৯। এ বিষয় নিয়ে ইউপি সদস্য মোঃ বশির মাতব্বর বলেন, আসলেই হাসিনা বেগম ও আঃ মান্নান হাং মামলাবাজ । ওরা এনামে বেনামে মামলা করে এলাকার জনসাধারনকে ভোগায় । ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাং বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু হাইজ্যাক মামলা বিষয়টি একটু হাস্যকর ব্যাপার। উল্লেখ্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন শাহ এর কাছে দু’ পক্ষ মানিত শালিসীর জন্য অভিযোগ করেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে শালিসী মানিয়া দিলে তাও হাসিনা বেগম ও আঃ মান্নান মেনে গায়ের জোরে চলছে। আঃ মান্নান ও হাসিনা বেগম আইন কানুন কিছুই মানে না। এ যেন দেখার কেউ নেই।