গলাচিপায় সরকারি আবাসন প্রকল্পের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল আতঙ্কে আছে ৮০পরিবার
প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৫ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
গলাচিপা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরকারি আবাসন প্রকল্পের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। জালজালিয়াতি করে ওই প্রতারক চক্র আবাসন প্রকল্পের প্রায় ১.৫ একর জমি অবৈধ ভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করে নেয়। এছাড়া আবাসন প্রকল্পে বসবাস করা ৮০টি পরিবার প্রতারক চক্রের মামলা হামলার হুমকির আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মৌজায় ১৫০ পরিবারের আবাসন সুবিধা দেয়ার জন্য ১২একর জমির উপর ৩৬৭ মে.টন গম প্রাক্কলিত ব্যয়ে বোয়ালিয়া আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১ম পর্যায় ৬.৪০ একর জমিতে ৮ ব্যারাক নির্মান করে ৮০টি পরিবারকে পূর্ণবাসন করা হয়। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বাকী ৫.৬০ একর জমি ১৪৯.৪৭৩ মে.টন গম বরাদ্দ দিয়ে ওই জমি উন্নয়ন করা হয়। বাউফল উপজেলার ধীরেন চন্দ্র পাল ও তার স্ত্রী বিজয় লক্ষ¥ী পাল এর নামে এক প্রতারক চক্র জালজালিয়াতি করে ২০৩৬ গলা/২০০৬-২০০৭ নম্বর বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে পূর্ব নিধারিত বোয়ালিয়া আবাসনের ১.৫০ একর জমি বন্দোবস্ত নেয়। ওই প্রতারক চক্র ২০১৬ সালে ২য় পর্যায় বোয়ালিয়া আবাসনের জন্য উন্নয়ন করা ভূমি রাতের আধাঁরে সন্ত্রাসী নিয়ে ১.৫০ একর জমি জোড় করে দখল করে নেয়। বোয়ালিয়া আবাসনের বাসিন্দা নয়া মিয়া জানান, আমরা ৮০টি পরিবার সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ পেয়ে বসবাস করছি। ধীরেন চন্দ্র পালের লোকজন অবৈধ ভাবে আমাদের আবাসনের জমি দখল করে মামলার হুমকি দিচ্ছে। বোয়ালিয়া আবাসনের সভাপতি মো.মনির শেখ জানায়, আমরা অবৈধ দখলদার ধীরেন চন্দ্র পালের ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মো.রফিকুল ইসলাম জানান, ধীরেন চন্দ্র পাল বাউফল উপজেলার বাসিন্দা হলেও পটুয়াখালীর হোমিপ্যাথী কলেজের অধ্যক্ষ বলে জানা যায়। কি ভাবে আবাসনের জায়গা বন্দোবস্ত পেয়েছে জানা নেই, তবে বন্দোবস্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা বাতিলের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরন করা হয়েছে।