সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় যৌতুকের দায়ে রেনিচ বেগম (২০) কে মারধর করায় ৪ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে রেনিচ বেগম। রেনিচ বেগম হচ্ছেন গলাচিপা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের আনোয়ার দর্জির মেয়ে। পাষন্ড স্বামী জাকারিয়া হচ্ছেন আমখোলা ইউনিয়নের কাঞ্চনবাড়ীয়া গ্রামের নুরু গাজির ছেলে। যার মামলা নং ২৯৩/১৯। পিটিশন মামলা নম্বর ২৪৭/১৯।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গলাচিপা পৌরসভার কাউন্সিলর বশার কমিশনারকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। আসামীরা হলেন, জাকারিয়া, নুরু গাজি, ফারুক গাজি, রাহিমা বেগম। মামলাসূত্রে ও রেনিচ বেগম জানান, বিগত ১২/০৫/২০১৮ ইং তারিখে পারিবারিক প্রস্তাবের ভিত্তিতে ইসলামী শরা শরিয়ত মোতাবেক ও রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে জাকারিয়ার সহিত আমার বিবাহ হয়। বিবাহের সময় আমার বাবা আমার সুখ শান্তির জন্য আমার শশুর বাড়ির মেহমানদের আদর আপ্যায়ন করে। আমাকে হাতে কানে, গলায় স্বর্ণের জিনিস ও আমার স্বামী জাকারিয়াকে গলার চেইন হাতের আংটি ও জামা পোশাক কিনে দেয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য রেনিচ বেগমকে মারতে থাকে।
রেনিচ বেগম বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক না নেওয়ার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমার কোন খোজ খবর না নেওয়ায় আমি আদালতে মামলা করি। এ বিষয়ে রেনিচের বাবা আনোয়ার দর্জি বলেন, আমি গরীব মানুষ। আমার মেয়েকে বিবাহের পর থেকে আমার মেয়ের জামাই যৌতুকের জন্য মারধর করে।
আমি যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার মেয়েকে মারধর করে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আবুল বশার প্যাদা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।