গলাচিপায় মন্দিরের জমি জোরপূর্বক দখল সহ মন্দির কমিটির উপর হামলা!
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:৫২ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্রা ও আটখালী গ্রামের হিন্দু অধ্যশিত শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের জমি জোরপূবর্ক ভোগ দখলের পায়তারা, মন্দির কমিটির সদস্যদের উপর হামলা ও হুমকি প্রদান করায় এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মন্দির কমিটি ও মন্দিরের নামে জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল করাসহ নানাবিধ ষরযন্ত্র ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মন্দিরের জমির সীমানা নির্ধারনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকারিভাবে সার্ভেয়ার নিয়োগ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, মন্দিরের নামে ৫০ শতাংশ এবং বন্দোবস্ত পাওয়া ২.৫ একর জমি যাহার মধ্যে মন্দির আটচালা ঘর, সেবাইত ঘর, অফিস ঘর, পুকুর, লেট্রিন, ঘাটলা, ষ্টল ঘরসহ বিভিন প্রকার গাছপালা ও ধানি জমি যাহার আটখালী জে,এল নং ৪৭, খতিয়ান নং-৯৭৯,২৯৫/২৯৭, দাগ নং-৩৩৩০/৩৩৪৪, সহ অন্যান্য দাগ মিলে মোট জমির পরিমান ৩ একর।
গত ২৮/২/২০০৬ ইং তারিখ উপজেলা খাস জমি বন্দোবস্তের মাধ্যমে মন্দিরের নামে ২.৫০ একর জমি যাহা বন্তোবস্ত দলিল নং ৬০৯/০৫, ১২১৭/০৬ তারিখ ০৬/০২/২০০৫ প্রাপ্ত হইয়া ২০১৮ সাল পর্যন্ত মন্দির কমিটি মন্দিরের নামে ভোগ দখলে ছিল। মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল গত ১০/১০/১৯ তারিখ গুরু দাস সিকদার, দিপক চন্দ্র রায় সিপক, মিলটন চন্দ্র ভূঁইয়া, প্রমল চন্দ্র ভূঁইয়া, পবিত্র চন্দ ভূঁইয়া, অনুপ চন্দ্র ভূঁইয়াসহ প্রায় ১৪ জন যুবক মন্দিরের মধ্যে ঢুকে মন্দির কমিটির সদস্যদের ও স্থানীয় কতিপয় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি আকস্মিক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দা, লাঠি ছোটা নিয়ে মন্দির কমিটির আলোচনা সভা চলাকালীন সময় হামলাকারিরা হামলা চালায় এবং মন্দিরের বাউন্ডারির বেড়া ভাঙ্গিয়া প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং উপস্থিত সদস্যদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারিরা প্রায় ১ ঘন্টা মন্দিরের আশেপাশে তান্ডব চালায়। এ ব্যাপারে সুমন চন্দ্র হাজারী বাদি হয়ে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে।
এছাড়া মন্দির কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট শতশত ভক্তবৃন্দ জানান, বিবাদীগণ এই মন্দিরের সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগ দখল করার পায়তায় চালাচ্ছে এবং স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মহলের নেতৃত্বে বিবাদীগণ এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং মন্দির কমিটির সদস্যদের হুমকি প্রদান করছে।
এই পরিস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী মু. মজিবর রহমান ও ইউএনও নিয়োগ প্রাপ্ত সরকারি সার্ভেয়ার ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরের জমি সীমানা নির্ধারনের জন্য এলাকায় অবস্থান করছে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ইতিমধ্যে মন্দির কমিটি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগ, প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।