গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাহাউদ্দিন খলিফার (৪৩) বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ কেটে ও উপড়ে ফেলে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে মনির খলিফর (৩৬) বিরুদ্ধে।
গাছের মালিক বাহাউদ্দিন খলিফা হলেন উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের কালিকাপুুর গ্রামরে মৃত আলহাজ¦ মো. মোতাহার উদ্দিন খলিফার ছেলে। আর গাছ অনিষ্টকারী মনির খলিফা হলেন একই বাড়ির মৃত রুহুল আমিন খলিফার ছেলে। সোমবার রাতে কালিকাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে বাহাউদ্দিন খলিফার জে.এল নং-১০৭, খতিয়ান নং- ১৮৪, দাগ নং- ৪১৩, ৪১৪ সম্পত্তির বাগানে লাগানো ১২০/১২৫ টি রেইনট্রি, মেহগনি ও চাম্বুলের নতুন চারাগাছ জোরপূর্বক কেটে ও উপড়ে ফেলে দিয়েছে মনির খলিফা ও তার ১০/১২ জন সহযোগী। এ সময় কাজের লোক মারফত খবর পেয়ে বাহাউদ্দিন খলিফা ঘটনাস্থলে যান। পরে বিষয়টি তিনি ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন খলিফা ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ানা মার্জিয়া নিতুকে জানান।
এ ব্যাপারে বাহাউদ্দিন খলিফা বলেন, ‘মনির খলিফা গাছ কেটে আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি করে। আমি মনির খলিফার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদালতে মামলা করব।
এর পূর্বে আমার উক্ত জায়গায় সে জোরপূর্বক স্থাপনা তৈরি করার চেষ্টা করলে আমি ৪ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করি। এছাড়া ১৫ দিন আগে সে আমার দিঘির প্রায় ৪০ হাজার টাকার রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, প্রায় এক বছর পূর্বে তার বিরুদ্ধে তার আপন চাচা নুরুল আমিন খলিফা একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে প্রক্রিয়াধীন আছে। এমনকি সে আমার বাড়ির কাজের লোকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ও আমাকে হত্যা করার হুমকি দেয়।’
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে মনির খলিফার কাছে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন খলিফার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ানা মার্জিয়া নিতু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং দেখব।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আখতার মোর্শেদ জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।