গলাচিপায় ঈদকে সামনে রেখে কদর বেড়েছে তেঁতুল গাছের খাটিয়ার
প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০১৯, ২:৫৬ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা, পটুয়াখালী
ঈদ- উল আযহাকে সামনে রেখে গলাচিপায় সর্বত্রই কদর বেড়েছে তেতুল গাছের তৈরী খাটিয়ার। প্রতিবছর কোরবানী এলেই কদর বাড়ে খাটিয়ার। তাই ঈদে আগের দিন ব্যবসায়ীরাও কড়া দামে তেতুল গাছের তৈরী এ খাটিয়া বিক্রি করেছেন। সূত্রমতে ঈদ উল আযহায় পশু কোরবানী করার পরে মাংস ছাটাই টুকরা করার জন্য প্রয়োজন হয় খাটিয়ার। যাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাংস ভালভাবে ছাটাই করা যায়। সব গাছ দিয়ে খাটিয়া তৈরী করা যায় না। খাটিয়া তৈরী করতে প্রয়োজন হয় তেতুল গাছের।
এ গাছ ছাড়া অন্য গাছ দিয়ে খাটিয় তৈরী করলে মাংসের সাথে গাছের গুড়ি উঠে মাংসের মান নষ্ট হয়ে যায়। তাই ঈদ উল আযহা আসলেই তেতুল গাছের চাহিদা বেড়ে যায়। সূত্রে আরও জানা গেছে কাঠ ব্যবসায়ীরা গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তেতুল গাছ সংগ্রহ করে স্ব- মিলে খন্ড খন্ড করে খাটিয়া তৈরী করে থাকেন। গলাচিপার এক খাটিয়া ব্যবসায়ী জানান, তেতুল গাছ দিয়ে তৈরী করা খাটিয়া চাহিদা অনেক্ ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ছোট , মাঝারি ও বড় তিন ধরনের খাটিয়া রয়েছে।
একটি ছোট খাটিয়া ৩ শত টাকা, মাঝারি ৪ শত টাকা আর বড় ধরনের খাটিয়া ৫-৬ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। কাঠ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, গত কয়েক বছর থেকে গ্রাম গঞ্জে তেতুল গাছ পাওয়া বড়ই দুস্কর হয়ে উঠেছে। যাওবা পাওয়া যায় তা চড়া দামে কিনতে হ্েচ্ছ। ফলে তেতুল গাছ দিয়ে তৈরী করা খাটিয়ার দামও পূর্বের চেয়ে একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। স্ব মিলের শ্রমিক আবুল বাশার জানান কাঠ ব্যবসায়ীরা এক সিএফটি তেতুল গাছ ৩ শত টাকা করে ক্রয় করেন। ঐ এক সিএফটি গাছে বড় ছোট ও মাঝারি মিলিয়ে কমপক্ষে ৪ টি খাটিয়া তৈরী করা যায়। যা কম হলেও ১ হাজার টাকা থেকে ১২ শত টাকা বিক্রি করা যায়। এতে কাঠ ব্যবসায়ীরা ভাল লাভবান হচ্ছেন।