কুয়াকাটায় বিমানবন্দরের সম্ভাব্য এলাকা পরিদর্শন শেষে পর্যটনের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে পর্যটন সচিবের মতবিনিময়
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:১৫ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
রানা,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক। অদ্য ১১.০৯.১৯ তারিখ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোঃ মহিবুল হক পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাস্থ পায়রা বন্দর এলাকায় প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের সম্ভাব্য নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এবং পায়রা বন্দর এলাকার পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থানসমূহের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
বুধবার সকাল ১০টায় পর্যটন হলিডে হোম্স’র হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব রামচন্দ্র দাস, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ: বারেক মোল্লা, কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দীন আহমেদ মাসুম, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এসএম মোশাররফ হোসেন মিন্টু, কুয়াকাটা ট্যুর অপাটের (টোয়াক) এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার প্রমূখ।
এসময় প্রসাশনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ট্যুর অপারেটর, পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় বক্তারা কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙনরোধ, দ্রæত মাষ্টার প্লান প্রনয়ন, সংযোগ সড়ক নির্মান সহ বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেন।
এছাড়া কুয়াকাটাকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।পর্যটন সচিব মহিবুল হক বলেন, কুয়াকাটা সৈকতের অপরিছন্নতা, সী-বীচে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলা ছোট ছোট স্থাপনা এবং আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে কুয়াকাটাকে রুপ দিতে শীঘ্রই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থান সমূহকে আধুনিক করতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান।এর পর তিনি কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও বিমান বন্দরের প্রস্তাবিত যায়গা নির্ধারনের জন্য চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন।