এক দিকে তাকে নিয়ে বিতর্কের ঝড়। অন্য দিকে, সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। খুব সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু সেটাই প্রতি মুহূর্তে করছেন পরীমণি। সেই লড়াই লড়তে লড়তেই হাতের তালুতে মেহেন্দি দিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা লিখছেন। অনায়াসে সেই বার্তা সবার সামনে তুলেও ধরছেন। এত শক্তি কোথা থেকে পাচ্ছেন পরীমণি। রোববার সে কথা নেটমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। একটি চিঠির ছবি ভাগ করে নিয়ে বলেছেন, এই চিঠিই তার সমস্ত শক্তির উৎস। পাশাপাশি, গণমাধ্যমকে এও জানিয়েছেন, জেলে থেকে মোটা হয়ে গিয়েছেন তিনি। তার ওজন বেড়েছে!৪ অগস্ট গ্রেফতারির আগে শেষ লাইভ সম্প্রচারে এসেছিলেন অভিনেত্রী। এর ঠিক এক মাস এক দিন পরে ফের নিজের ফেসবুকে এলেন তিনি। ভাগ করে নিলেন তার নানা শামসুল হক গাজিকে লেখা একটি চিঠি। যেখানে শতবর্ষ পেরনো দাদুকে জেলবন্দি নাতনি আশ্বস্ত করে লিখেছেন, ‘আমি ভাল আছি। চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শিগগিরই দেখা দিব।’নানাকে লেখা এই চিঠিই তাকে শক্তি জুগিয়ে গিয়েছে। নিজের মতামত জানাতে গিয়ে অকপটে স্বীকার করেছেন পরীমণি। লিখেছেন, ‘একটা চিঠি, আমার সব শক্তির গল্প।’
প্রসঙ্গত, অল্প বয়সে পরীমণি মাকে হারান। আরেকটু বড় হয়েই হারান বাবাকে। এর পরে পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজির কাছে বড় হন তিনি। তাই মা-বাবা হারা নাতনি জেলবন্দি হতেই ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন নানা। নিজে গিয়েছিলেন নাতনির সাথে দেখা করতে। যদিও নাতনিকে একবার চোখের দেখাও দেখতে পাননি তিনি। গণমাধ্যমের কাছে পরে সেই ক্ষোভ, হতাশা উগরে দিয়ে ছিলেন শামসুল হক গাজি। তার নানার কাছে ফিরতে হবে, এই জেদই তাকে প্রেরণা দিয়েছে লড়াইয়ে, এমনই বলতে চেয়েছেন ‘প্রীতিলতা’ চরিত্রের অভিনেত্রী।
কারাগার থেকে বের হয়েই হাতের তালুতে ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ লিখে তিনি নতুন কিছু বুঝাতে চেয়েছেন। হাতের মেহেন্দি-বার্তার পর আবারো তার নিশানায় নিন্দুকেরা। যারা তার চরিত্র নিয়ে প্রতি মুহূর্তে বিরুপ মন্তব্য করে চলেছেন। তাদেরকেই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, কোনো প্রণয়ী নয় পিতৃসম নানাই তার লড়াইয়ের প্রেরণা। সেই সাথে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন, জেলে শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া না করতে পারায় ৩ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছে তার। যদিও এই নিয়ে চিন্তিত নন অভিনেত্রী। তিনি জানেন, কড়া নিয়মের মধ্যে থাকলেই ফের তিনি আগের চেহারা ফিরে পাবেন।