ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এবার তার অভিষেক হচ্ছে বড় পর্দায়। চমকের বিষয় হচ্ছে, আগামীকাল শুক্রবার সিনেমায় অভিষেকের দিনে একই সঙ্গে ঢাকায় ‘অমানুষ’ এবং কলকাতায় ‘আয় খুকু আয়’ শিরোনামে এই অভিনেত্রীর দুটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। যার ফলে মিথিলা গড়তে যাচ্ছেন বিরল রেকর্ডও। দুই বাংলায় দুটি আলাদা সিনেমা মুক্তি দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক এবারই প্রথম কোনো শিল্পীর ক্ষেত্রে ঘটতে যাচ্ছে। তবে এই মুহুর্তে অফিসের কাজে মিথিলা সুদূর আফ্রিকার তানজানিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন। প্রথমবারের মতো নায়িকা হয়ে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন।
মুক্তির আগ মূহুর্তে ঠিক কেমন অনুভূতি হচ্ছে? মিথিলা মুঠোফোনে বলেন, প্রথমবারের মতো আমার ছবি হলে মুক্তি পাচ্ছে সেটা খুঁশির কথা। আমার জন্য ভালো লাগার এবং একটা বিশেষ ব্যাপার। অবশ্যই এক্সাইটেড, তবে আমি খুব একটা নার্ভাস নই। কারণ কাজটা কেমন হয়েছে বা কতটুকু এফাের্ট দেয়া হয়েছে আমার জানা।
অমি খুব প্রাক্টিক্যাল এসব বিষয়ে। তাই আত্মবিশ্বাস আছে। দর্শকদের অনুরোধ করবো হলে গিয়ে ছবি দুটি দেখুন। কারণ বাংলা ছবির পাশে তো থাকতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মুক্তির সময় ঢাকা কিংবা কলকাতা কোথাও থাকতে পারবো না। তাই খানিকটা খারাপ লাগা কাজ করছে। ‘অমানুষ’ ও ‘আয় খুকু আয়’ সিনেমা দুটো কেন দর্শকের দেখা উচিত? এই অভিনেত্রীর উত্তর- ‘অমানুষ’ কর্মাশিয়াল ছবি। তবে এর গল্পটা ভীষণ আলাদা। এলিট ক্লাসের একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি এই সিনেমায়। যে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছে। একটা পর্যায়ে সে কিডন্যাপিং এর শিকার হয়। এই ছবিটা সকল শ্রেণীর আসলে। আর ‘আয় খুকু আয়’ তে আমি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেখানে মফস্বলের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একজন মা। ‘আয় খুকু আয়’ বাবা আর মেয়ের গল্প। ইমোশনাল একটা গল্প। সেখানে অনেক টুইস্টও আছে। ছবিটি ইন্টারেস্টিং।
আমাদের সবার প্রিয় বুম্বাদা, দিতিপ্রিয়াও আছে। এসব কারণেই দুটি সিনেমাই দর্শকের দেখা উচিত। দুটি সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? মিথিলা বলেন, চরিত্রের প্রস্তুতির কথা যদি বলি, ‘অমানুষ’ সিনেমার মেয়েটি হাফ ইংলিশ হাফ বাংলায় কথা বলে। যার জন্য এক ধরনের প্রস্তুতি আমাকে নিতে হয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে যখন কিডন্যাপ হয় তখন মেয়েটা স্ট্রাগল করে। প্রচুর দৌড়, ঝাপ দিতে হয়। যার কারণে ফিজিক্যালি আমাকে ভীষণ খাটতে হয়েছে। ফিজিক্যাল এবং মেন্টাল দুইভাবেই প্রিপারেশন নিতে হয়েছে। আমরা দিনের পর দিন জঙ্গলে থেকেছি। পুরোদমে করোনার সময়ে জঙ্গলে ঢুকেছি আর বের হইনি। জঙ্গলে থাকাটা একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা। ভীষণ সবুজ, পাখির ডাক জঙ্গলের যে পরিবেশটা ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ উপভোগ করেছি। আর ‘আয় খুকু আয়’ -তে আমার উপস্থিতি কম সময়ের, তারপরও আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত মায়ের চরিত্রটা কেমন হতে পারে, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কথাবার্তা, হাসি সেটা আমাকে ধারণ করতে হয়েছে। ভাবতে হয়েছে। আমার মনে হয় স্বল্প উপস্থিতি থাকলেও দর্শক অমার চরিত্রটাকে ভালোবাসবে।