একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মায়ের আকুতি
প্রকাশ: ৫ মে, ২০২১, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
শার্শা প্রতিনিধি : শরীরে মরণ ব্যাধী টিউমার নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে ইরফান নামে এক শিশু। বাবা নেই। নেই মায়ের অর্থকড়ি। চিকিৎসার অভাবে ছোট টিউমারটি বয়সের সাথে সাথে আকারে বড় হচ্ছে।
যার ফলে শিরা টান পড়ে পায়ের পাতা বেঁকে গিয়ে ৫ বছরের শিশু ইরফান আজ শারীরিক প্রতিবন্ধি। দ্রুত চিকিৎসা করা না গেলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন অসহায় পরিবার।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার অর্ন্তগত বাক্সা বেলেডাঙ্গা গ্রামের মৃত মুনতাজ আলী ও মাতা জলি খাতুনের ছেলে ইরফান। কখনো খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটে চলা আবার কখনো শুয়ে শুয়ে দিন যায় তার।
জন্ম থেকে শরীরে প্রাণঘাতি টিউমার তার নিত্য সঙ্গী। বয়সের সাথে সাথে টিউমারটিও আজ বড় আকার ধারন করেছে। ছোট ইরফান জানেনা এই টিউমারটি তার প্রাণের জন্য কতটা ঝুঁকি। জন্মের পর থেকে অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখালেও কোন ফল পাননি ভুক্তভোগী পরিবার।
দিনে দিনে বড় হতে থাকা টিউমারের সাথে শিরা টান পড়ে পায়ের পাতা বেঁকে যাচ্ছে তার। একমাত্র সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন অসহায় পরিবারটি।
ইরফানের নানা-কুতুব উদ্দিন সরদার বলেন, আমার নাতিছেলের শরীরের টিউমারটি দিনে দিনে বড় হচ্ছে। আমি গরীব ভ্যান চালক। অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখালেও কোন কাজ হয়নি। এখন আমি আর চিকিৎসা ব্যায় বহন করতে পারছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করছি।
টিউমার ও প্রতিবন্ধিতার জন্য থেমে গেছে ইরফানের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মায়ের নিরাপদ কোলে কিংবা একাকী বসে থাকাতেও রয়েছে মায়াবী চেহারার নির্বাক চাহনি। পিতা না থাকায় স্বামীহারা বিধবা জলি খাতুন ছেলেকে নিয়ে ভুগছেন অর্থ সংকট ও চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিয়ে।
ইরফানের মা জলি খাতুন জানায়, সন্তান জন্মের কিছুদিন পরেই আমার স্বামী সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। অর্থের অভাবে খেয়ে পরে চলাই দুস্কার। তার উপরে সন্তানের টিউমার অপারেশন করতে না পেরে দিন দিন আমিও গভীর চিন্তাই মরতে বসেছি।
জন্ম থেকে শরীরে বহন করে আনা প্রাণঘাতি টিউমার অপারেশন করা হলে বাঁচতে পারে শিশু ইরফানের জীবন। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তশালী মানুষেরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে এমনটাই কামনা করছি।