সঞ্জয় ব্যানার্জী,দশমিনা(পটুয়াখালী) থেকেঃ
এই বয়সেও রিকশা চালিয়ে জীবন চলে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত্যু আঃ গনি সরদারের ছেলে মোঃ বারেক সরদার(৭০)। তার বাবা মৃত্যুর সময় ২২তিল জমি ছাড়া আর কিছুই রেখে যেতে পারেননি। তাই তিন বেলা খাবার জোটানোর জন্য ছোট বেলায় কাজে নামতে হয়। কখন যে রিকশার চাকা আর প্যাডেলের সঙ্গে তার জীবন আটকে যায় তা তিনি নিজেও জানেন না।
বারেক সরদার জানান, তার সংসারে স্ত্রী, তিন ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। মেয়েরা চলে গেছে অন্যের সংসারে আর ছেলেরা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। এখন বুড়ো-বুড়ি দু’জনের সংসার। শরীর আর আগের মতো ঠিক নেই। আগে প্যাডেলের রিকশা (বাংলা রিক্সা) চালাতেন। শরীরে আগের মতো জোর না পাওয়ায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালায়। আগের মত তার রিকশায় যাত্রীও উঠেনে। তিনি বলেন, রাস্তায় রোজগারও ভালো না আর প্রায়ই অসুস্থ থাকি। অনাহারে অর্ধাহারে দিন চলে। সরকারি কোনো সহায়তাও পাচ্ছি না। বয়স্কভাতা কিংবা এ ধরনের কোনো সহায়তা পেলে শেষ জীবনের কয়েকটি দিন শান্তিতে কাটাতে পারতাম
দশমিনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস বলেন, বয়স্ক ভাতার বিষয়ে আমাদের কাছে ইউপি চেয়ারম্যানরা তালিকা পাঠান। ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা আছে- যারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য তাদের নাম তালিকাভুক্ত করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে যদি কেউ এসে বলে যে সে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু পাচ্ছেন না । অবশ্যই আমরা তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।