আমার ছোট ভাই আবদুল মুঈদ কাফি মিয়া। তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নয়ন বন্ড আমার কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে সই নিয়েছিলো। সেই থেকে নয়ন আমাকে তার স্ত্রী দাবি করতেন।’
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরগুনা পৌরসভার পুলিশ লাইনের ২নং ওয়ার্ডের বাবার বাসায় বসে এ কথা জানান নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
আয়েশার খালা রোজী জানান, মুনা, মিন্নি, মেঘলা, কাফি ওরা চারজন আপন ভাই-বোন। দুই মাস আগে নিহত রিফাতের সঙ্গে মিন্নির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। যদি নয়নের সঙ্গে মিন্নির বিয়ে হতো তাহলে আমরা কিভাবে বড় অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিলাম। বিয়ের কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি কোনো ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেননি।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বরগুনা সরকারী কলেজ রোডে স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাতকে কুপিয়ে জখম করে সাবেক স্বামী নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা।
গুরুতর আহত রিফাতকে প্রথমে বরগুনা সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জন নামভুক্ত আসামি ছাড়াও আরও অজ্ঞাত ছয়-সাত জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, রিফাতের হত্যা মামলার প্রধান আসামি অভিযুক্ত নয়ন এক সময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। ২০১১ সালে বরগুনা জিলা স্কুল থেকে তারা এসএসসি পাস করেন।
এরপর ২০১২ সালে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য নিয়ে প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে নয়ন। বর্তমানে বরগুনা থানাসহ বিভিন্ন থানায় নয়নের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।