কয়েক বছর আগেও পড়ালেখা, সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে থাকত ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া নাফিজা লুবাবা মিম। কিন্তু হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ায় নীরব হয়ে গেছে সে। অসহনীয় কষ্ট নিয়ে এখন মাসের পর মাস বিছানায় সময় কাটছে তার।
চিকিৎসক দ্রুত অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনের সময়ও দিয়েছেন। কিন্তু দরিদ্র বাবা-মা টাকা জোগাড় করতে না পারায় মিম এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
সন্তানের এমন করুণ দশা সহ্য করতে পারছেন না পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের কাজীপাড়া মহল্লার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মিরাজ চৌধুরী-আমেনা বেগম দম্পতি। চিকিৎসার খরচ জোগাড়ে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছেন অসহায় পরিবারটি। কিন্তু কোথাও মেলেনি সহযোগিতা!
বাবা মিরাজ জানান, চার বছর আগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দেখানো হয় মিমকে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। ওই সময় ডাক্তার দ্রুত অপারেশন করার কথা বলেন। অপারেশনের খরচ লাগবে দুই লাখ টাকা। এমন কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসেন বাড়িতে। বর্তমানে অসুস্থতা বেড়েছে মিমের। শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। খেতে পারছে না কিছুই। শুক্রবার আবারও মিমকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসক আগামী ২০ অক্টোবর অপারেশনের দিন নির্ধারণ করেছেন। টাকা জোগাড় না হলে আবারও মিমকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে চলে আসতে হবে। মেয়েকে বাঁচাতে দিশাহারা পরিবারটি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
চাটমোহর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজ আলী যুগান্তরকে বলেন, চোখের সামনে মেয়েটিকে বড় হতে দেখলাম। হাসিখুশি মেয়েটি আজ একেবারেই নীরব হয়ে গেছে। পরিবারটি খুবই অসহায়। ওদের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
সাহায্য পাঠাতে: আমেনা খাতুন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট নম্বর- ২১১১০৩২১১৬৭৯।