থরথর করে কাঁপছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার জীবনপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধরা। মাঘের ঠাণ্ডায় বন্ধ হয়ে গেছে তাদের উপার্জন। ভিক্ষাবৃত্তিই তাদের একমাত্র পেশা।
ষাট বছর বয়সি মোমেনার স্বামী ১০ বছর আগে মারা গেছেন। চালচুলা কিছুই রেখে যাননি। গুচ্ছগ্রামে থাকেন তিনি। সকাল হলেই এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে খাবার জোগাড় করেন এই অসহায় নারী।
একই গ্রামের মরিয়ম আক্ষেপের সুরে বলেন, ভোট আসলে সবার দেখা হয়, ভোট হইলেই কেউ নাই!
বৃহস্পতিবার মরিয়ম, মোমেনাসহ শতাধিক হতদরিদ্র শীর্তাত নারী-পুরুষ জেলার হরিপুর উপজেলা পরিষদে কম্বলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিকাল পর্যন্ত থেকেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি কোনো শীতবস্ত্র।
উপজেলার কুশগাঁও গ্রামের আবু বক্কর অভিযোগ করে বলেন, হামার নাম লিখে নিল। কম্বল দেল-না স্যার (ইউএনও)।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একেএম শরীফুল ইসলাম বলেন, আগামী সোমবার তাদের কম্বল দেওয়া হবে।
নেকমরদ ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, শতকরা ১০ ভাগ হতদরিদ্র শীতার্তদের হাতে পৌঁছেনি কোনোরকম শীতবস্ত্র। শীতবস্ত্রের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এসব মানুষ।
শীতার্তদের শীত নিবারণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় ২৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ মিলেছে। এগুলো জনপ্রতিনিধি এবং ইউএনওদের মাধ্যমে বিলি করা হয়েছে। আরও ৩০ হাজার কম্বল ও ২০ লাখ টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।