স্টাফ রিপোর্টার :
বরিশালের বন্দর থানার ওসি মো: আনোয়ার হোসেন তালুকদার সৎ ও আদর্শবান হওয়ায়
সর্বস্তরের মানুষের কাছে আজ প্রিয় অভিভাবকের আসনে জনবান্ধব ওসি হিসেবে
সকলেই স্বীকার করেন। অল্প সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার যথেষ্ঠ পরিবর্তন হয়েছে। চোর, ডাকাত, মাদক সন্ত্রাসের কাছে এক আতংক আনোয়ার হোসেন তালুকদার। মাদক সন্ত্রাস এবং কিশোর গ্যাং ও তাদের গডফাদার এদের ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের কঠোর নির্দেশনা পেয়ে কঠোর অবস্থানে বন্দর থানা। থানা এলাকায় শুদ্ধি অভিযান চলছে ইতিপূর্বে মাদক ব্যবসায়ী সহ অনেক অপরাধীকে আটক করতে সক্ষম হন তিনি। বর্তমানে অনেক অপরাধীই আত্মগোপন করে আছে অচিরেই তাদেরও আটক করতে সক্ষম হবে বলে জানান ওসি আনোয়ার। তিনি বলেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অল্প সময়ের মধ্যে সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় এক অভিভাবক হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওসি আনোয়ার । এ ব্যাপারে ওসি আনোয়ার জানান, কতটুকু জনগনকে সেবা দিতে
পেরেছি জানিনা তবে শতভাগ সেবা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রের পবিত্র পোষাক পড়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিন রাত সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। আমার থানা এরিয়ার প্রতিটা এলাকায় উঠান বৈঠক করে যাচ্ছি বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে থানায় আগত মানুষের কথা শুনে তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। থানায় অভিযোগ করিতে কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয়না যদি
কোন অফিসার টাকা নেয় এমন তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর আমার থানা এরিয়ায় কোন দালালের জায়গা নেই কোন অপরাধীর পক্ষ নিয়ে দালালী করতে আসলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদাবাজ, চোর ডাকাতের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন-‘আগেই বলেছি, সকল
অপরাধীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি। আর কঠোর অবস্থানে থাকার কারণে
অনেকটা পরিবর্তন আসছে।
থানার সুবিধা অসুবিধার ব্যাপারে জানতে
চাইলে তিনি বলেন- সুবিধা অসুবিধা থাকবে, দায়িত্বে অবিচল নিজেকে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। জনগনের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আর জনগনের সেবা নিশ্চিত করাটাই হলো মূল
লক্ষ্য।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত
পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ছোটবেলা থেকেই ছিল শান্ত স্বভাবের ছাত্র হিসেবে ছিল খুব মেধাবী। সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ও সরকারি বিএম কলেজে
পড়াশুনা শেষ করে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।
বিভিন্ন থানায় দক্ষ ও যোগ্যতার বলে অল্প সময়ে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি।
ওসি আনোয়ার বলেন,আমার পরিকল্পনা বন্দর থানা এক সময় মডেল থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা জনগণের বন্ধু পূর্বে ছিলাম বর্তমানে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আমি চাই বন্দর থানা এরিয়ায় কোন মাদক ব্যবসায়ী থাকবে না। থাকবে না কোন অনিয়ম, দুর্নীতি আশা করি জনগণ আমাদের পাশে থেকে সকল
তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস এর ব্যাপারে বন্দর থানার পক্ষ থেকে জনগনকে সচেতনতার জন্য মাইকিং করা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, চুরি সহ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড বন্ধের জন্য কঠোর অবস্থানে বন্দর থানা।