সাদিকের সহযোগী কাউন্সিলর রনীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরী : গ্রেপ্তার দাবী
|
মামুনুর রশীদ নোমানী :বরিশালের বহুল সমালোচিত মেয়র সাদিকের একনিষ্ঠ সহযোগী ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী।১৫ মে একজন ভুক্তভুগী নারী এই সাধারন ডায়েরী করেছেন। ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন,পলাশপুরের কেফায়েত হোসেন রনি ও সাগর প্রান নাশের হুমকি প্রদান করেন। ২০২২ সালের ১৬ মে আসামী রনির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর থেকেই বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য রনি ও তার সহযোগীরা হুমকি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি কালুশাহ সড়কে ভুক্তভুগী ঐ নারীর বাসার সামনে এসে রনি ও তার সহযোগীরা প্রান নাশের হুমকি প্রদান করলে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পরেন ঐ বাদী। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগকারী সাধারন ডায়েরী করেছেন থানায়। কেফায়েত হোসেন রনি ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আরও পড়ুন………বরিশাল সিটি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ঐ ভুক্তভুগী জানান,ধর্ষণের জন্য আমি মামলা করার পরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনিকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন বরিশাল জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর। এছাড়া ফেসবুক লাইভে এসে একই দাবি করেছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। ওই তরুণী দাবি করেন- মামলা দায়েরের পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আসামী রনিকে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। তিনি বলেন, কেফায়েত হোসেন রনি তার ক্ষমতা ও টাকা দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। আমি আমার বাড়িতে থাকতে পারছি না। একজন ধর্ষিত নারী হয়ে যদি বিচার না পাই, বাংলাদেশের কোনো নারী বিচার পাবে না। সে আসামি হয়েও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানিয়ে কান্নাকাটি করেন এই ভুক্তভোগী নারী। বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, ওই তরুণী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। কিভাবে দলীয় নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে তদন্তকাজে বিচার কাজে চাপ সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে বিচার পাওয়ার অধিকার সকলেরই আছে। মামলা হলেই তিনি দোষী হন না। কিন্তু বিচারে ও তদন্তে এভাবে চাপ সৃষ্টি করা সঠিক কাজ নয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৬ মে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এইচএসসি পাস করা এই ভুক্তভুগী তরুণী। |