করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মীসহ যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের বিশেষ সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। কীভাবে তাদের বিশেষ সুবিধার আওতায় আনা যাবে সে সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে, যা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।
গতকাল রবিবার অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব জাফর ইকবাল, আইডিআরএর সদস্য মোশাররফ হোসেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের এমডি মাহফুজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারা প্রত্যক্ষভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সবার জন্য স্বাস্থ্যবীমার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বীমার ক্ষেত্রে সরকারকেই প্রিমিয়াম দিতে হবে।
এ ছাড়া বীমার টাকা পেতে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগে যায়। এজন্য সরকারি চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী যারা আছেন তারা করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় অবদান রাখছেন তাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এ ক্ষেত্রে সরকারি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাকিয়া সুলতানা আমাদের সময়কে বলেন, ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে ১৫-৩০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে তিনি পাবেন ৫ লাখ টাকা, ১০-১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন সাড়ে সাত লাখ টাকা আর ১ম-৯ম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ১০ লাখ টাকা। আর সরকারি কোন কর্মকর্তা মারা গেলে এর পাঁচগুণ আর্থিক সহায়তা পাবেন। আর এ বিশেষ সুবিধা বাস্তবায়ন করবে সরকারি কল্যাণ বোর্ড।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাফর ইকবাল আমাদের সময়কে বলেন, এ সংক্রান্ত খসড়া তৈরির কাজ চলছে। সরকারি ডাক্তার, নার্স, প্রশাসনের কর্মকর্তা/কর্মচারী, পুলিশ, সেনাবাহিনী এ সুবিধা পাবেন।
আইডিআরএর সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত কর্মচারী যারা রয়েছেন তারা এ বিশেষ সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।