২০০০ সালে যখন অভিনয় শুরু করেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। ২০০১ সালে যখন প্রথমবার ‘হ্যারি পটার’ বড় পর্দায় এল, এমা ওয়াটসন হয়ে গেলেন হারমিওন গ্রেঞ্জার। ১০ বছরে হ্যারি পটার সিরিজের ৮টি সিনেমায় এমা হয়ে উঠলেন শিশু থেকে তরুণী। আর এবার তিনি মিস থেকে হতে যাচ্ছেন মিসেস। বিয়ের আসরে সাদা গাউনে বলবেন, ‘আই ডু’। যাঁকে উদ্দেশ্য করে শব্দ দুটো উচ্চারণ করে জীবনসঙ্গীরূপে গ্রহণ করবেন, তিনি পেশায় একজন বৈধ মাদক ব্যবসায়ী। নাম লিও রবিনটন। ১৮ মাস ধরে প্রেম করছেন তাঁরা।
ডেইলি মেইল এমার কাছের এক মুখপাত্রের বিবৃতি দিয়ে লিখেছে, ‘প্রায় দুই বছর ধরে তাঁরা (এমা আর লিও) প্রেম করছেন। এমা তাঁর জীবনসঙ্গীর খোঁজ পেয়েছেন। তিনি সম্ভবত বাগদানও সেরে ফেলেছেন। আর এমার এখন মূল মনোযোগ পরিবারের দিকে। একটু নরম রোদে বসে কফি হাতে নিরিবিলি পত্রিকা পড়ে কাটাতে চান তিনি। আর কিছু বিকেল অজানা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কোনো একটি ক্যাফেতে বসে হালকা খাবারের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিতে চান। এখন তাঁর সব মনোযোগ কেবল সংসারে।’
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল ২০১৯ সালের অক্টোবরে এমা আর লিওর প্রকাশ্যে চুমু দেওয়ার ছবি প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেয়। সেই দিন থেকে সবার চোখ লিওর ওপর। জানা গেছে, এমা নাকি চুপি চুপি বাগদানও সেরে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগত রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’, ‘লিটল ওম্যান’ দিয়ে সু–অভিনেত্রী হিসেবে নজরকাড়া এমার সুখ্যাতি আছে নারীবাদী হিসেবেও।
ফোর্বস আর ভ্যানিটি ফেয়ার–এর মতে, তিনি হলিউডের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারীদের একজন। টাইম সাময়িকীর সেরা ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায়ও নাম লিখিয়েছেন তিনি। কিন্তু এ মুহূর্তে এসব কিছুই টানছে না তাঁকে। হলিউডের রাস্তায় পথচলা তো আর কম হলো না, এবার সংসারে মন দিতে চান তিনি।