পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সন্তান রেখে ভালোবাসা দিবসে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়েছেন জামাই। স্ত্রী ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শ্বশুর। সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্বশুর বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
পরে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে জামাই-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন।
এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত জামাই মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫) একই গ্রামের মো. মুনসুর হাওলাদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ গ্রামের হালিম সিকদারের বড় মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের বিয়ে হয় ৫ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই সাইদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন। শ্বশুর কাজে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকার সুবাদে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাইদুল ইসলাম।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের দিনে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ সময় শ্বশুর তার বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঢাকা থেকে এসে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারেন তার স্ত্রী মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।
মামলার বাদী হালিম সিকদারের বলেন, বিয়ের পর জামাই সাইদুল আমাদের ঘরেই বসবাস করত। তাদের একটি আট মাসের কন্যাসন্তান রয়েছে। আমি মাসে ২০-২৫ দিনের বেশি কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম। এই সময়ে পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ায় সাইদুল এবং গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজার পর তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন বলেন, শ্বশুর হালিম সিকদারের দায়ের করা মামলায় জামাই এবং শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।