লিটন বাশার’র বিকল্প হতে পারেনি কেউ : দালাল আর পাচাটাদের আজ রমরমা
প্রকাশ: ২৭ জুন, ২০২১, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ নোমানী : সাংবাদিক লিটন বাশার। ছিলেন একজন সাহসী সাংবাদিক। সাংবাদিকদের নেতা। সাংবাদিকদের কল্যানে কাজ করে গেছেন মুত্যুর আগ পর্যন্ত। শত বাঁধা আর বিপত্তি উপেক্ষা করে চলেছেন। তার সাথে পরিচয় ভোলায় বসে। ভোলায় বরিশালের স্থানীয় একটি পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ছিলেন। ভোলা থেকে ঢাকায়। ঢাকা থেকে বরিশালে। বরিশালে আসার পরে প্রায়ই তার কাছে যেতাম। সাংবাদিকতার কলা কৌশল শিখতাম। আমার নাম নোমানী হলেও তিনি ডাকতেন নুমান নামে। সাংবাদিকতায় তার হাতে খড়ি দৈনিক শাহনামা থেকে। আমি শাহনামায় কর্মরত তাই আলাপ আলোচনা হতো খোলা প্রানে। তার থেকে নিউজ নিয়ে শাহনামায় দিতাম। শাহনামার তৎকালীন বার্তা সম্পাদক ওয়াজেদ আলী খান গুরু। নিউজ দেখে বলতো এতো লিটন বাশারের লেখা নিউজ। এডিট করে দিতেন গুরু। ২০০৮ সাল। একটি সংবাদ আমাকে লিটন বাশার ভাই দিয়ে বলে নুমান কাল শাহনামায় ছাপিয়ে দিও। তার কথা মত ছাপিয়ে দিলাম। সে নিউজটি একই দিন ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছিল ভিন্ন শিরোনামে। শাহনামায় ও ইত্তেফাকে শিরোনামের মুল বিষয় ছিল জেলা প্রশাসনে গন পদোন্নতি ও বদলী। নিউজ প্রকাশের পরে ডিজিএফ আই ও RAB অফিস থেকে ডাক এলো। গেলাম। হাজারো প্রশ্ন। উত্তর একটাই দিয়েছি যে এই সংবাদটি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছে নিন এই ইত্তেফাকের কপি। ডিজিএফ আই ও RAB অফিসে লিটন বাশার কল দিয়ে বলে দিলো এ সংবাদ আমি করেছি নুমান নির্দোষ। যদি কিছু করেন আমাকে করেন। সাথে সাথে রক্ষা পেলাম। সে এক দীর্ঘ ইতিহাস। এভাবে বিপদে আপদে আমিসহ সকল নিপিড়িত নির্যাতিত সাংবাদিকদের পরম বন্ধু ছিলেন লিটন বাশার। উপরোল্লিখিত ঘটনারমত শত ঘটনা রয়েছে। সর্বাগ্রে এগিয়ে এসেছিলেন লিটন বাশার। আজ বরিশালে শত শত সাংবাদিক। লিটন বাশারের বিকল্প কেউ হতে পারেনি। কারন অনেক তার মধ্য অন্যতম কারন বর্তমানে দালাল আর পা চাটা সাংবাদিকদের সংখ্যা বেশী। এসব দালালরা সহায় সম্পদ বাড়াতে ব্যস্ত। বরিশালে সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দিবে এমন একজন লিটন বাশারের আজ বড় প্রয়োজন। আজ সকলে পিঠ বাঁচিয়ে চলে পদলেহনই যেন তাদের বড় কর্ম। কথিত সাংবাদিক নেতাদের অভাব নেই। এসব নেতা দেখলে লজ্জা লাগে। ইচ্ছে করে থুথু ফেলি ওদের গায়ে। লিটন বাশার কেন জনপ্রিয় হয়েছিল কারন তিনি ছিলেন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা। ছিলেন সাংবাদিকদের বন্ধু। লিটন বাশার যাদের নেতা বানানোর চেষ্টা করেছিলেন সেসব সাংবাদিকরা আজ লিটন বাশারকে ভুলে গিয়ে স্বার্থহাসিলে ব্যস্ত। লিটন বাশার একজনই হয়। তার বিকল্প হতে পারেনি কেউ। বরিশালে বর্তমানে সাহসি সাংবাদিক আর সাংবাদিক নেতা নেই। যা আছে তারা সাংবাদিক নেতা নয়।তারা দালালীতে ব্যস্ত। ব্যস্ত সাংবাদিকদের ক্ষতিকরার ষড়যন্ত্র নিয়ে।২০১৭ সালে আজকের এই দিনে লিটন বাশার ইন্তেকাল করেন। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। লিটন বাশার বেচেঁ থাকবেন হাজারো সাংবাদিকদের হৃদয়ে। লিটন বাশার জন্ম হোক এই বরিশালে সাংবাদিকদের মধ্য থেকে যিনি হবেন একজন সাহসী সাংবাদিক নেকা এমন প্রত্যাশা আমাদের।