রহমতপুর ভূমি অফিস যেন দূর্নীতির আখড়া, অতিরিক্ত ফি সহ কবরস্থানের জমি হস্তান্তর করার অভিযোগ
প্রকাশ: ২৫ মার্চ, ২০২৩, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল রহমতপুর ভূমি অফিসে দূর্নীতিসহ বাড়তি ফি এবং কবরস্থানের জায়গা হস্তান্তর করার অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে গেলে সোমবার (২০ মার্চ) মোঃ ফরিদ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জানান, “গত ১ মার্চ ভূমি অফিসে জমি দাখিলা কাটাতে গেলে অফিস সহকারী মোঃ জামাল হোসেন অনলাইনে নাগরিক আইডির জন্য ৫০০ টাকা দাবি করেন, আমি তাকে ৫০০ টাকা দেই। পরে দাখিলা কাটার জন্য ২ হাজার টাকা চান, আমি দিতে অস্বীকার করে বাহিরে কম্পিউটার দোকান থেকে অনলাইনে দাখিলার জন্য আবেদন করি। সেখানে সরকারি নির্ধারিত ফি ৬৫৪ টাকা লাগছে। তারপর আমি ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলামের কাছে অনলাইনে আবেদনের কথা জানিয়ে আবেদনের রিসিভ চাইলে উনি বলেন, আমি কম্পিউটারের কাজ বুঝিনা আমার ছেলেকে দিয়ে কম্পিউটার থেকে রিসিভ কপি বের করে দিবো, আপনি কাগজপত্র নিয়ে (চৌমাথা, নবগ্রাম রোড, শোনা মিয়ার পুল) আমার বাসায় আসেন।
তারপর “উনার বাসায় গিয়ে টাকা জমা দেওয়ার রিসিভ দিলে রবিবার (১৯ মার্চ) অফিসে আসতে বলাসহ চা খাওয়ার খরচ চাইলে পরে দেয়ার কথা বলি। রবিবার অফিসে আসলে উনি কাগজপত্র ফিরত দেন এবং বলেন আমার আইডি আবেদন জমা পরেনি ঘুরাতে থাকে। পরে আজ (২০ মার্চ) সাংবাদিকদের উপস্থিতি পেয়ে দাখিলা জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান।
আরও জানা যায়, বাবুগঞ্জ থানায় চাদপাশা কিসমত মৌজার জে এল নং: ৭০ এর ৬৮১ দাগে কবরস্থান থাকা সত্ত্বেও জমি অন্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় অভিযোগ সূত্রে অফিস সহকারী মোঃ জামাল হোসেন সাধারন মানুষের কাছ থেকে নাগরিক আইডির জন্য অনলাইন ফি বাবদ ৫০০ টাকা নিয়ে থাকেন, যেখানে সাধারণ বাহিরের দোকানে ফি বাবদ ১০০ টাকা। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দাখিলার জন্য কয়েকগুণ টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ মিথ্যা, তবে আমার বাড়িতে যেতে বলা ভুল হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অফিস সহকারী জামাল হোসেন বলেন, “আমার টাকা নেয়ার অভিযোগটি মিথ্যা, আমি শুধুমাত্র দাখিলা কাটি, আমার আইডি নেই, বড় সাহেব (মো: নজরুল ইসলাম)র আইডি, আবেদন করলে উনার আইডিতে জমা পরে, আমি এসব কিছু জানিনা।”
বিষয়টি জানার জন্য বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা কে জিজ্ঞাসা করলে উনি জানান, নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশাকরি দ্রুততম ব্যবস্থা নেয়া হবে। কবরস্থানের জমি হস্তান্তর করা যায় না, যদি হয়ে থাকে আবেদন করলে সংশোধন করা হবে।