যাত্রী সংকট ঢাকা-বরিশাল আকাশ পথে নভোএয়ার :নৌ পথে গ্রীন লাইন চলাচল বন্ধ ঘোষনা
প্রকাশ: ২৯ জুলাই, ২০২২, ৮:৩২ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ নোমানী : স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরেই পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় ঢাকা-বরিশাল রুটে নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল স্থগিতের ঘোষনা দেয়া হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে এই রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের মার্কেটিং অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা নীলাদ্রি মহারত্ন।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে ফ্লাইট বন্ধ রাখব। তবে যাত্রীর চাহিদা পর্যবেক্ষণে রাখব। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে আবারও এই রুটে ফ্লাইট চালাব।
যাত্রী সংকট নিয়ে ফ্লাইট চালু রাখা উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদ পর্যন্ত মোটামুটি যাত্রী ছিল। কিন্তু এরপর যাত্রী কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বরিশাল বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম তালুকদার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি বলেন, কোনো কোম্পানি ফ্লাইট বন্ধ করলে আমাদের লিখিতভাবে অবহিত করা হয়। এখন পর্যন্ত নভোএয়ার এমন কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে , আকাশপথে ঢাকা-বরিশাল রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স , ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার এয়ারলাইন্স ভাড়া কমিয়েছিল। বাড়া কমানোর পরেও যাত্রী সংকট দেখা দেয়ায় নভোএয়ার এই রুটে তাদের ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষনা দিয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা প্রান্ত থেকে গ্রীন লাইন ওয়াটার জাহাজের নির্ধারিত সার্ভিসটি স্থগিত করা হয়। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী কমে যাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে গ্রীন লাইনের ফেসবুক পেজ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়া হয়। তবে ঢাকা-কালীগঞ্জ-ভোলা (ইলিশা) রুটের এমভি গ্রীন লাইন-২ নিয়মিত চলাচল করবে বলে জানানো হয়।
গ্রীন লাইনের বরিশাল কাউন্টারের হিসাবরক্ষক আল-আমিন জানান, সার্ভিসটি আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। তিনি আরো জানান, পদ্মা সেতু চালুও হওয়ার পর নৌ-পথে যাত্রী কমে গেছে। মূলত এ কারণেই আপাতত সার্ভিসটি স্থগিত করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ক্যাটামেরান সার্ভিসের দুটি ওয়াটারওয়েজ জাহাজ নিয়ে ঢাকা-হিজলা-বরিশাল রুটে দিবা সার্ভিস শুরু করে গ্রীন লাইন পরিবহন। সার্ভিসটি চালুর পর তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। প্রতিদিন সকাল ৮টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে এবং বিকেল ৩টায় বরিশাল প্রান্ত থেকে যাত্রী পরিবহন করে আসছিল এমভি গ্রীন লাইন। তবে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ঢাকার সদরঘাট থেকে এবং বরিশাল প্রান্ত থেকে নৌযানটি ছাড়েনি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ভিসটি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলো।