বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১০নং আলিমাবাদ ইউনিয়নে ব্যাপক হারে বেড়েছে চুরির ঘটনা। প্রতিনিয়তই চুরি হচ্ছে একাধিক বাড়ি-ঘর। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার সচেতন মানুষ। নিয়মিত চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। একবছরেরও অধিক সময় ধরে চলমান এই চুরির কোন প্রতিকার না পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভুমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলছেন স্হানীয় বাসিন্দারা।গত শুক্রবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে চুরি হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মো. ফজলুল হকের (সেলিম পন্ডিত) বাড়ি। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী। নিয়ে গেছে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তিনি আরও জানান, তার বাড়িতে এটাই প্রথম চুরির ঘটনা নয়। বেশ কিছু দিন আগেও তার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে ছিল।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন স্থানীয় মেম্বার ও ভুক্তভোগীর প্রতিবেশি সবুজ হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত পৌনে চার ট’র দিকে ডাক-চিৎকার শুনে সেখান যাই। গিয়ে দেখলাম নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। ’
শুধু এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাড়ি নয়, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বারেক ফকির, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার বুলু, মাস্টার মো. শাজাহান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলী হাওলাদার, প্রফেসর মাসুদুর রহমান, মাস্টার জহিরুল ইসলাম, মাস্টার মো. গিয়াস উদ্দিন, মাস্টার হোসেন মৃধা,মাস্টার হাসান ব্যাপারী, ডা. ফখরুদ্দিন, সোবাহান গরামী, ব্যবসায়ী ফয়সাল মোল্লা, ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান ভুইয়াসহ অনেকের বাড়িতেই একই পদ্ধতিতে ঘটনা ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গত এক বছর ধরে প্রায় প্রতি রাতেই কোন না কোন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছেই। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানকে জানানো হলোও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় এসব হচ্ছে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। ফলে এসব অপকর্ম করেও অপরাধীরা ধরা পরছে না বা এর কোন ধরনের প্রতিকার নেয়া হচ্ছে না। ভয়-আতঙ্ক নিয়ে দিন পার করছেন স্হানীয়রা।এলাকায় মাঝে মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে বলে স্বীকার করেন আলিমাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এলাকায় মাঝে মধ্যে চুরি হচ্ছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের দমনের চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।’তিনি আরোও জানান, আলিমাবাদ ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত ও দুই জেলার সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল। তাই অনেক সময় হয়তো বহিরাগতরাও এই অপরাধের সংগঠিত করছে বলে ধারণা করছেন তিনি।এব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, তার কাছে এখনও কোন অভিযোগ আসে নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।