ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ব্যবসায়ী হওয়ার কিন্তু অনেকটা হুট করেই বনে গেলেন মডেল। ফটোশুট থেকে বিজ্ঞাপনে, আর প্রথম বিজ্ঞাপনেই পান জনপ্রিয় নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর নির্দেশনা। প্যারাসুটের বিজ্ঞাপন দিয়ে যাত্রা শুরু, এরপর প্রাণ ফ্রুটূ জুস, সিলন টি, ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পসহ প্রায় ২০টির মত বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। বলছিলাম ময়মনসিংহের ত্রিশালের মেয়ে নাজনীন নাহার নিহার কথা।
আসছে ঈদে অভিনয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে নিহার। একাধিকবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেও প্রথমবারের মত অভিনয় করেছেন নাটকে। জনপ্রিয় নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরীর পরিচালনায় ‘লাভ সেমিস্টার’ শিরোনামের এ নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান।
প্রথমবার অভিনয় করার বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘‘লাভ সেমিস্টার’ আমার অভিনীত প্রথম নাটক, তাই এটা নিয়ে প্রত্যাশাও বেশি। প্রথম নাটকেই পরিচালক, সহশিল্পী থেকে শুরু করে টিমের সবার অনেক বেহি সহযোগিতা পেয়েছি। যেহেতু এর আগে অভিনয় করিনি তাই অনেক বেশি নার্ভাস ছিলাম। শুটিংয়ের আগে ৪/৫ দিন রিহার্সেল করেছি, অনেক কিছু শিখেছি। তারপরও ক্যামেরার সামনে অভিনয় করতে প্রথম দিকে অনেক বেশি নার্ভাসনেস কাজ করছিল। প্রবীর ভাইয়া ও জোভান ভাইয়া সেসময় অনেক বেশি সহযোগিতা করেন তারপর কিছুটা কমফোর্ট অনুভব করি।’
নিহা বলেন, ‘অভিনয় নিয়ে কখনো তেমন ইচ্ছে ছিলো না তবে অনেক সময় মনে হতো যে, অভিনয় করলে মন্দ হয় না। ২০২০ সালের শুরুর দিকে আমার ফুফাতো ভাই (মেজবাহ) আমার কিছু ফটোশুট করায়। এরপর বেশ কিছু হাউজের শুট করেছি। এর কয়েক মাস পর ডাক পাই প্যারাসুটের বিজ্ঞাপন করার, যেটি পরিচালনা করেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী ভাইয়া। এরপর আরও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ করি। এরমধ্যে অনেকবারই নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও সাহস হয়নি। কিন্তু এবার প্রবীর ভাইয়া অনেকটা জোর করেই আমাকে রাজি করিয়েছেন। তাছাড়া গল্পটা বেশ সুন্দর তাই অভিনয় করতে রাজি হয়েছি।’
‘এই কিছুদিন শুটিং করে বেশ ভালো লেগেছে। যেহেতু অভিনয় নিয়ে আগে কিছুটা ভয় কাজ করতো এখন সেটা কিছুটা হলেও কমেছে। যেহেতু শুরু তাই চাইবো ভালো কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে এবং অবশ্যই অভিনয় শেখার।’- যোগ করেন তরুণ এই অভিনেত্রী।
অভিনয় নিয়ে স্বপ্ন আগে সেভাবে না দেখলেও মেহজাবীন চৌধুরীর অভিনয় সবসময় ভালো লাগতো নিহার। তার ভাষ্যে, ‘অভিনয় করবো এমনটা ভাবিনি কখনো তবে মনে হতো যে, যদি অভিনয় করতে পারতাম। এরচেয়ে বেশি কিছু না। অভিনয়ের জন্য আমার মেহজাবীন আপুকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ। আপুর হাসি থেকে শুরু করে তার অভিনয় সবকিছুই অনেক বেশি ভালো লাগে। উনার হাসি, কান্না সবই ভালো লাগে আমার।’