মির্জাগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন শিক্ষক-কর্মচারীর গোয়াল ঘর
প্রকাশ: ২৮ জুলাই, ২০২১, ৫:১৬ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার :
দেখে চেনার উপায় নাই যে এটা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বারান্দায় গরু-ছাগলের মলমূত্র। শ্রেণিকক্ষে খড়কুটো, ঘাসপাতা দিয়ে বাঁধা মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীর গরু-ছাগল। মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষ নয় মনে হয় এটা গরুর গোয়ালঘর। আমড়াগাছিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা নামে এমনই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেখা মিলে উপজেলার আমাড়াগাছিয়া গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনার কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে সারাদেশের ন্যায় মির্জাগঞ্জে বন্ধ রাখা হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকার সুযোগে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষ দখল করে গোয়ালঘর নির্মাণ করেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা। সরজমিনে দেখা যায়, মাদ্রাসার একটি কক্ষে নাইটগার্ড শাহীন বিশ্বাসের গরু বাঁধা, অন্য ২ কক্ষে এলাকার বারেক বিশ্বাস ও মাদ্রাসার সহকারী ক্বারি মোঃ আফজাল বিশ্বাসের ছাগল বেঞ্চের উপরে ও নিচে বসে পাতা খাচ্ছে।
ওই মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র ও একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আবদুল্লাহ বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে অনেক আগে থেকেই তারা গরু- ছাগল বাঁধে। আর এখন তো বন্ধ কোন শিক্ষার্থী নাই। লকডাউনের শুরুতেই শ্রেণিকক্ষে গরু-ছাগল বেঁধে পালন করছেন শিক্ষক- কর্মচারীরা। নাইটগার্ড মোঃ শাহীন বিশ্বাস বলেন, আমি আজকেই গরু বাঁধছি। আর কর্তৃপক্ষ তো কিছু বলে না। ছাগলগুলো আফজাল হুজুর ও বারেক বিশ্বাসের। সহকারী ক্বারি মোঃ আফজাল বিশ্বাসের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি অসুস্থ। এবিষয়ে কিছু জানি না। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এটি এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গরু-ছাগল রাখার জন্য না। এরকম করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি এখনই সুপারকে বলবো। মাদ্রাসরা ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ ইউসুফ বলেন, আমি অনেকবার তাদের নিষেধ করেছি। কিন্তু আমার কথা শুনে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুদ্দীন ওয়ালীদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।