ভোটে হেরে টাকা ফেরত দাবি: হাজির হননি ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১:২০ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি
ভোটে হেরে টাকা ফেরত চাওয়ার ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান অভিযোগকারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ জাকির হোসেনসহ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তার সামনে হাজির হননি অভিযুক্ত ওসি মো. গোলাম কবির, ইউনিয়নের ভোটে দায়িত্ব পালনকারী এসআই মো. আসাদ ও ইউপি সদস্য ফরিদুজ্জামান। তাঁরা সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তাঁদের হাজির হতে ফের নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের ভোট হয়। ভোটে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হওয়ার পথ সহজ করবেন- এমন মৌখিক চুক্তিতে আশাশুনি থানার ওসির হাতে ২৭ লাখ টাকা তুলে দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেন। ভোটে হেরে ঘুষের টাকা ফেরত পেতে ওসি গোলাম কবিরের কাছে ধরনা দিতে থাকেন তিনি।
কিন্তু টাকা ফেরত না পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ পাঁচ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী। বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর আশাশুনির সাবেক ওসি গোলাম কবির, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকির হোসেনসহ ছয়জনকে তাঁর কার্যালয়ে হাজির হতে চিঠি দেন ওই কর্মকর্তা।
সোমবার নির্ধারিত সময়েই বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হন শেখ জাকির হোসেন, তাঁর ভাই শেখ আজুয়ার রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী রোকনুজ্জামান ঢালী। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, ‘আমরা অভিযোগকারীর কথা শুনেছি। তিনি অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। অভিযুক্ত ওসি দূরত্বের কারণে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। পরবর্তী দিন তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব তদন্তও চলমান। তদন্তকাজ শেষ হলে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকির হোসেন বলেন, ‘কীভাবে, কবে, কত টাকা দেওয়া হয়েছে- তার বিবরণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বলেছি। তিনি বক্তব্য লিখে রেখেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, এগুলোর সপক্ষে কোনো প্রমাণ আছে কিনা? আমি তাঁকে প্রশ্ন করেছি, এসব লেনদেন কখনও প্রমাণ রেখে করা হয়?’