ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা শিশু সংগঠক বরিশাল কিশোর মজলিশ-এর প্রতিষ্ঠাতা একেএম আজহার উদ্দিন-এর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী ৮ মে । স্কুল জীবন থেকেই মাতৃভাষার আন্দোলন সক্রিয় ছিলেন। ৫২এর ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৬৯ এর গন অভ্যূত্থানসহ ৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার স্বপ্নে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। দেশ স্বাধীনের পর নারী শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। সে লক্ষে নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন কিশোর মজলিস প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এআরএস বালিকা বিদ্যালয়। এছাড়া বেগম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৩৫ সালের ২২ ডিসেম্বরে জন্ম নেয়া একেএম আজহার উদ্দিন ২০১৪ সালের ৮ মে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। জানা গেছে, ১৯৫২ সালে ঢাকায় ছাত্র মিছিলে গুলি হয়। আহত ছাত্রদের রক্তমাখা শার্ট নিয়ে বরিশালে আসে কয়েক জন। ২২ ফেব্রুয়ারী বরিশালে অঘোষিত হরতাল পালিত হয়। গুলির প্রতিবাদ জানাতে হাজার মানুষ অশ্বিনী কুমার হলের সামনে জড়ো হয়। এমনকি মেয়েরাও প্রতিবাদ জানাতে ছুটে আসে। নগরীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে খন্ড খন্ড মিছিল বের হয়। আজাহার উদ্দিন তখন বরিশাল নগরীর এ কে ইনস্টিটিউটে দশম শ্রেনীর ছাত্র। পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে তার নেতৃত্বে এ কে ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা শোক মিছিলে অংশ নেয়। ছাত্রদের ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ ধ্বনিতে আকাশ বাতাস কেপে ওঠে। ১৯৫৩ সালে আজাহার উদ্দিন নিজ উদ্যোগে এলাকার যুব সমাজকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ‘কিশোর মজলিশ’ নামের একটি স্বে”ছাসেবী সংগঠন। ওই সংগঠনের মাধ্যমেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এলাকার কিশোর, যুবক ও তরুণদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর এই সংগঠনটি দেশ গড়ার কাজে অংশ নিয়ে বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে বৃহৎ শিক্ষা কমপ্লেক্সে রূপ পায়।
করোনা পরিস্হিতির কারনে মৃত্যু দিবস উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকার অসহায় মানুষদের মধ্যে দৈনন্দিন জীবনের খাবার সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান মরহুমের পুক্র আবু বকর সিদ্দিক সোহেল।