ভারতে আটকেপড়া যাত্রীরা দূতাবাসের বিশেষ অনুমতিতে দেশে ফিরছেন
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
যশোর জেলা প্রতিনিধি : ভারতে করোনার নতুন ধরন রোধে বাংলাদেশ সরকার দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে ১৪ দিন যাতায়াত বন্ধ ঘোষণায় আটকেপড়া যাত্রীরা দূতাবাসের বিশেষ অনুমতিতে দেশে ফিরছেন। তবে নতুন করে পাসপোর্টযাত্রীদের ভারত ও বাংলাদেশ ভ্রমণ এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
ভারত সীমান্তে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, অন্তত একদিন আগে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয়া উচিত ছিল। তাহলে সীমান্তে এসে তাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
ওপারে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী এবং শিক্ষার্থী। গত দুইদিন ধরে আটকে থাকায় অনেক রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে।
ভারতের পেট্রাপোলে আটকা পড়া তিন শতাধিক যাত্রীর মধ্যে ৭০ বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দেশে ফেরেন তারা। ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোলে একটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা নিজ খরচে সেখানে অবস্থান করবেন। কোলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন অফিস থেকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) নিয়ে দেশে ফেরেন তারা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ভারতে করোনার নতুন ধরন সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থলপথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করে। তবে নিষেধাজ্ঞাপত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশি দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকলে তাদের আসা যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দিনভর কোনো যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে না পারলেও হঠাৎ সন্ধ্যায় ছয় বাংলাদেশি দেশে প্রবেশ করেন। এছাড়া মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৪৪ জন প্রবেশ করে। ফেরত আসা ৪৪ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন অফিসে কর্মরত ও তাদের পরিবারের সদস্য। একজন ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়। বাকিরা সবাই সাধারণ যাত্রী, যাদের বেশিরভাগ গিয়েছিলেন চিকিৎসায়।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত খরচে ১৪ দিন বেনাপোলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিকে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের আরটিপিসিআরের করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেও তাদের বর্তমান শর্ত মানতে রাখা হচ্ছে ১৪ দিন আবাসিক হোটেলের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। তবে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ব্যক্তিগত খরচে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশি উপহাইকমিশনারের ছাড়পত্র থাকায় আটকেপড়া যাত্রীদের কিছু ফেরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশি কোনো পাসপোট যাত্রী নতুন করে ভারতে যাননি এবং ভারত থেকেও কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেননি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত থেকে পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশের মুখে রফতানি গেটে ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাককে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও স্থলবন্দর যৌথভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তারপর ট্রাক চালকের হ্যান্ড স্যানিটাইজ, মাস্ক ও পিপিই নিশ্চিত করা হচ্ছে। তারপর বাংলাদেশে প্রবেশে করতে দেয়া হচ্ছে।