বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা বাজারের একটি ব্রিজের বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
ব্রিজের দক্ষিণ পাড় হলো বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়ন চাউলা গ্রাম অপরদিক উত্তর পাড় হলো পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রাম। এই ব্রিজটি হইলো দুই জেলার সংযোগস্থল। ব্রিজটি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। ব্রিজের উপর সিমেন্টের তৈরি পাটা ধসে যাওয়ায় এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা বাজারের বিধ্বস্ত এই ব্রিজটির একদম বিকলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে; যা চলাচলের একদম অযোগ্য। সীমাহীন এ দুর্ভোগে পড়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ ও একটি মাদরাসার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও পার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা।
সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায়, ব্রিজের দুইপাশ থেকে ভেঙে যাওয়াসহ উপরের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন মোটরবাইক চলাও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়েই মোটরসাইকেল পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন চালকরা। ব্রিজটির বেহাল দশা প্রায় ৫ বছর যাবত।
চাউলার স্থানীয় বাসিন্দা ও চাউলা একতা যুব সংগঠনের সভাপতি কাওছার আলিম বলেন, শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে ব্রিজটির অবস্থা খুবই করুণ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা।অথচ ব্রিজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনো মাথা ব্যথাই নেই। মাঝে মধ্যে শুনি টেন্ডার হয়েছে, তবে মেরামত কবে হবে জানা নেই।
আঠারো গাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হারুন অর- রশীদ হাওলাদার বলেন,চাউলা বাজারের এই ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অল্প সময়ের মধ্যেই টেন্ডার দেয়া হবে।অচিরেই এ সমস্যা সমাধান করা হবে।