ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আ. লীগের ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:০৬ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী সরে দাঁডালেন। শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মর্কতার কার্যালয়ে গিয়ে তারা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
উপনির্বাচনে বর্তমানে দলছুট স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারসহ পাঁচ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
এই উপনির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ১৫ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। এখন পর্যন্ত এই আসনের উপনির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তারসহ পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল। ৮ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থীদের হলফনামায় ত্রুটি ও ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকায় পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
উপনির্বাচনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- বিএনপি থেকে সদ্য পদত্যাগকারী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ এবং জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী এবং জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, সোয়া ১১টার দিকে আমরা তিনজন প্রার্থী এক সঙ্গে প্রত্যাহার করেছি।
তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী জানান, ভাঙ্গা নির্বাচনে তাঁরা অংশ নেবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুতি নেবেন। তাই ব্যক্তিগত কারণে প্রত্যাহার করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার বলেন, আসনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উন্মুক্ত রেখেছেন। আমাদের দলের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজ নিজ দায়িত্বে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। প্রত্যাহারের সময় আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার বিজয়ী হয়েছিলেন। ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।