বিশেষ সংবাদদাতা : ঝালকাঠি- ১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন আলহাজ্জ বজলুল হক হারুন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি এ আসন থেকে বারবার বিজয় লাভ করেছেন। জয় লাভ করে সন্ত্রাস দমনসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
ক্লিন ইমেজের অধিকারী আলহাজ্জ বজলুল হক হারুন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও বাংলাদেশ সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ এর সভাপতি। বজলুল হক হারুনেই ভরষা আওয়ামীলীগের। তাকে আবার মনোনয়ন দেয়া হলে নির্বাচিত হবেন এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। ২০১৮ সালে যখন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে হারুনই মনোনয়ন পেয়েছে তখন তাৎক্ষনিকভাবে রাজাপুর- কাঁঠালিয়ার নেতাকর্মীসহ সাধারন জনগনের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছিল। সে সময় আনন্দের খবরে বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরন করেন। হারুন মানেই ক্লিন ইমেজের এক নেতা। হারুন মানেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এক রাজনীতিবীদ।
আওয়ামী লীগে কেন এগিয়ে বি এইচ হারুন :
বি এইচ হারুন ভদ্র স্বভাবের একজন নেতা। তার নামে নেই কোন বদনাম। মনোনয়ন বিক্রি,চাদাঁবাজি,সন্ত্রাসী,মাদকবিক্রিসহ অপরাধ মুলক কোন কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেন নি। শক্তহাতে দমন করেছেন সন্ত্রাসীদের। ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন রাজাপুর ও কাঠালিয়ায়। আপামর জনসাধারণ তার ওপর খুশি। মানুষ চায় শান্তি ও শৃংখলা। মানুষের আশা আকাঙ্খা পুরন করেছেন। নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সকলের সাথে ।মানুষজন আছে শান্তিতে। নিয়োগ বানিজ্য,টেন্ডার বানিজ্যসহ সকল বিতর্কিত কর্ম থেকে থেকেছেন বিরত। এজন্যই সকলের মনকে জয় করেছেন বজলুল হক হারুন। এসব কারনেই আওয়ামীলীগের হাই কমান্ড বি এইচ হারুনের ওপরই রেখেছেন আস্থা। দল ও সরকার তার কর্মকান্ডে হয়নি কখনো বিব্রত। সব দিক বিবেচনায় আওয়ামীলীগ থেকে ঝালকাঠী -১ আসনে আবারো মনোনয়ন পাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা।
বজলুল হক হারুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সাথে জনগণ আছে। আমি নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি। আমি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে রাজাপুর ও কাঠালিয়ায় অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবো এবং স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। আশা করি তৃণমূল ও দলের হাইকমান্ড আমার কর্মকান্ড মূল্যায়ন করবে।
উল্লেখ্য, আলহাজ্জ বজলুল হক হারুন ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল এর সালে ভোটের লড়াই করে এ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। এরপর ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি (বজলুল হক হারুন) বিনা প্রতিদন্ধিতায় নির্বাচিত হয়।
২০১৮ সালে বজলুল হক হারুন নৌকা প্রতীকে এক লাখ একত্রিশ হাজার পাঁচ শত পচিশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন ব্যরিষ্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ছয় হাজার একশত একান্ন ভোট।
এ আসনে মোট ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৫ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৯ হাজার ২৬৯ জন এবং নারী ভোটার ৮৮ হাজার ৯৮৬ জন।