ব্যারিস্টার প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার এলাকাবাসীদের প্রতিবাদ
প্রকাশ: ২৯ জুন, ২০২০, ২:১০ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
সারা বাংলাসহ কয়েকটি অনলাইন মাধ্যমে বিশিষ্ট সমাজ সেবক , রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও লামহা প্রোপার্টিজ রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট কল্পকাহিনী বানিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে
” ব্যারিস্টার সেজে প্রতারণা, এলাকাবাসীর লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ ” শিরোনাম দিয়ে। সংবাদে টাকা নেয়া,চাকুরি দেয়া সহ বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষাৎকারমুলক বক্তব্য দেয়া হয়।সংবাদটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিথ্যা তথ্যে ভরপুর যা বাস্তবতার সাথে মিল নেই। আমরা দেখেছি এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদের কারণে জনাব প্রিন্স ইলাহীর প্রতি না জানা সাধারণ মানুষের উষ্মা ও ঘৃনা প্রকাশে বেশ ব্যথিত হয়েছি। একজন সৎ জনদরদী মানুষের বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হয়েছে যা রুপকাহিনীকেও হার মানিয়েছে। তিনি এলাকার অসহায়,দুস্থ্য মানুষের বন্ধু হিসেবে ইতিমধ্য সুনাম অর্জন করেছেন। ব্যারিষ্টার প্রিন্স এলাকায় সড়ক,স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগীতা করেছেন। তিনি মানুষের কল্যান মূলক কাজে নিয়োজিত থাকার পরেও তার বিপক্ষে অপ-প্রচার নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ বলে আমরা মনে করি। করোনার এই দুর্যোগেও তিনি শত শত মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী দিয়ে পাশে থেকেছেন।
প্রথমত : ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহী দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স পাশ করেছেন এল এল বি ও বার এট ল লেখাপড়া সম্পন্ন করেছেন।
জনাব ইলাহী ডবল মাষ্টার্স পাশ। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স ও মাষ্টার্স করেছেন ঢাকা কলেজ থেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডি সাবজেক্টে মাষ্টার্স (ইভিনিং) পাশ করেছেন। আশা করি জনাব ইলাহীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কারো মনে কোন প্রশ্ন উঠবেনা। তার বিরুদ্ধে লেখাপড়া বিষয়ে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মনগড়া তথ্যে ভরপুর।
দ্বিতীয়ত : জনাব ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহী কোন চাকুরি, বিদ্যুৎসহ কোন বিষয়ে তদবির বানিজ্যে জড়িত নহে। এলাকায় তিনি নিজ খরচায় এলাকার কারো সহায়তা না নিয়ে বিভিন্ন স্থানে সড়ক নির্মান,স্কুল নির্মান,বিদ্যুৎ লাইন নির্মানে সহযোগীতা করেছেন। তার কারনেই বড় রঘুনাথপুর,ছোট রঘুনাথপুরসহ প্রত্যন্ত অজপাড়াগাঁয়ে আজ পেইজের সড়ক, বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ ও পাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তিনি কারো কাছ থেকে সিঁকি পয়সাও নেন নি। আমরা এলাকাবাসী জোড় দিয়ে বলছি যদি কেউ দাবী করে যে,ব্যারিষ্টার প্রিন্সের কাছে এক টাকা পাবো তাহলে আজিবন গোলামী করবো তাদের সাথে। তিনি কারো কাছ থেকে এক কাপ চাও খায়নি। আমরা এলাকাবাসী বিশ্বাষ করি ব্যারিষ্টার প্রিন্সের সুনাম নষ্টের জন্য একটি অত্যন্ত ধুরন্ধর ও ষড়যন্ত্রকারী ষড়যন্ত্র করছে তারই ফলাফল এই অপপ্রচার।
তৃতীয়ত : ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহী একজন স্বজ্জন ব্যক্তি ও মানব দরদী। তিনি কারো সাথে প্রতারনা বা প্রলোভন বা হুমকি বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। এলাকার বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে যে ব্যক্তি থাকেন সর্বদা তিনি উল্লেখিত কাজ করেন কিভাবে ? এ প্রশ্ন আমাদের। এ প্রশ্ন সকলের। জনাব প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদ আষাঢ়ের গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা মনে করি তার বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ যারা প্রকাশ করেছেন তারা নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন পাঠকদের কাছে। এমন মিথ্যা সংবাদ যিনি লিখেছেন তার ওপরে মানুষের আস্থা হারিয়েছেন।
চতুর্থত : ব্যারিস্টার প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদে হাসান মাহমুদ, রিপন ও জাকারিয়ার বক্তব্য দিয়ে সংবাদটিকে বিশ্বাষযোগ্য করানোর চেস্টা করা হয়েছে। জনাব প্রিন্স ইলাহীর এলাকার হাসান মাহমুদ,জাকারিয়া ও রিপন। তাদের সাথে পরিচয় রয়েছে একই এলাকার বাসিন্দা হিসেবে। তবে তাদের মধ্য কোন বিষয়ে লেনদেন হয়নি। লেনদেন হলে আমরা এলাকাবাসী জানতাম। আমরা এলাকার লোকজন হয়ে জানিনা আর সাংবাদিক সাহেব জানলেন শত মাইল দুরে বসে। বিষয়টি রহস্য মনে হচ্ছে। আমাদের কাছে জাকারিয়া, হাসান মাহমুদ ও রিপন বলেছে যে,ব্যারিষ্টার সাহেবের সাথে কোন বিষয়ে কোন লেনদেন করি নাই। তারা তাদের নাম অনলাইনে দেখে হতবাক হয়েছেন। এ ছাড়া দেলোয়ার নামে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছে এমন ব্যক্তির কোন অস্তিত্ত নাই। এমন নামের কাউকে তিনি বা আমরা চিনি না। সাংবাদিক সাহেব রুপক বা আজগুবি নাম দিয়ে এমন অভিযোগ রটিয়েছেন সংবাদটির গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে। আমরা বিশ্বাষ করি কথিত বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রিন্স ইলাহীর সুনাম নস্ট করা যাবেনা। তিনি কেমন মানুষ তা এলাকার ছোট বড় সকলেই জানেন।
পঞ্চমত : ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহীর পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান। অত্যান্ত একজন পরহেজগার মানুষ। সংবাদে তার বক্তব্য দেয়া হয়েছে। আদৌ কোন সাংবাদিক জনাব হাবিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে বা সরাসরি কেউ সাক্ষাৎ করে বক্তব্য নেয়নি। সুতরং আমরা পুরোপুরি বিশ্বাষ করেছি যে ,ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটি মনগড়া ও আষাঢ়ের গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এলাকার লোকজন এমন সংবাদে মর্মাহত হয়েছি। ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ হলুদ সংবাদ হিসেবে আমরা গ্রহন করেছি। ধিক হলুদ সাংবাদিকতা।
ষষ্ঠত : জনাব প্রিন্স ইলাহী একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এলাকার লোকজন এবং তার সংগঠনের পদধারী লোকজন পোষ্টার ছাঁপিয়ে বিভিন্ন স্থানে সেটে দিয়েছেন। পোষ্টার নিয়ে সংবাদে এমন রং দেয়া হয়েছে যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির শামিল। এছাড়া দক্ষিনাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবকদের হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ কোন ভুইফোড় সংগঠন নয়। একটি আদর্শিক সংগঠন। এমন একটি আদর্শিক সংগঠনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ও রাজাকারদের পক্ষেই বিরোধীতা করা সম্ভব। যাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের নাম শুনলে গায়ে জ্বালা ধরে তাদের কাছে এমন একটি আদর্শিক সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আমরা মনে করি যারা এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ব্যঙ্গ করছেন তারা রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী। তাদের সাথে জামাত ও রাজাকারদের যোগসাজস রয়েছে।তারা এদের অনুসারী।
সপ্তমত : আমরা সকলেই জানি ব্যারিস্টার প্রিন্স ইলাহীর মোবাইল নম্বর ২৪ ঘন্টা ওপেন থাকে। কল করতেই তিনি রিসিভ করেন। অথচ সাংবাদিক সাহেব কল করে তাকে পাননি বা তিনি রিসিভ করেন নি। এটি একটি মুখস্থ কথা। কল করেছি তিনি রিসিভ করেন নি। এটা একটা ফালতু ও বাস্তব বিবর্জিত কথা। এমন একটি বাক্য থেকেই বুঝতে পেরেছি যে,ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহী বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার। তার পাহাড়সম জনপ্রিয়তা ও সুনাম দেখে একটি কুচক্রিমহল ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ সারাবাংলা অনলাইন পোর্টালসহ কয়েকটি অনলাইনে ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে কপি কাট পেষ্ট সংবাদ। শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায়না তেমনি মনগড়া ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহীর সুনাম নষ্ট করা যাবেনা।
অষ্টমত : যদি কেউ ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহী থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে তাহলে তারা আইনীভাবে প্রমানাদীসহ থানা কিংবা আদালতে মামলা দায়ের করে প্রতিকার চাইতে পারতো। আইন আদালত উপেক্ষা করে সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা সংবাদের পথ বেছে নেয়াই বলে দেয় ইহা একটি পরিকল্পনা মাফিক ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহীকে হেয় প্রতিপন্ন করে সুনাম নস্টের জন্য অপপ্রচারে লিপ্ত হওয়া।
আমরা মনে করি অনলাইন পোর্টালগুলো ব্যারিষ্টার প্রিন্স ইলাহীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে মানহানী করেছেন যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘন।
স্বাধীনতা স্বপক্ষের রাজনীতি ,আদর্শিক সংগঠন ও সমাজ সেবাে করতে গিয়ে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন ব্যারিস্টার প্রিন্স ইলাহী । তার বিরুদ্ধে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচারিত ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।
সেই সাথে আমরা তার বিরুদ্ধে অপ প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট নিউজ পোর্টাল কর্তৃপক্ষ ও স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ারকৃত আইডি থেকে নিউজ প্রত্যাহার পুর্বক দুঃখ প্রকাশ না করলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে …..
এনামুল হক বাচ্চু,মোঃ সোহরাফ, সুজন
বড় রঘুনাথপুর, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।