বেতাগীতে করোনার মধ্যে ডায়েরিয়ার প্রকোপ : মৃত্যু ২ : আক্রান্ত ১২৮
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ২:১৩ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
অলি আহমেদ :বরগুনার বেতাগীতে হঠাৎ করে ডায়েরিয়ায় আক্রান্তে বেড়ে চলছে। গত রাতে ১ জন চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে। এযাবৎ মোট ২ ডাইরিয়ায় মৃত্যুবরণ হল। এক সপ্তাহে ১২৮ আক্রান্ত হয়ে বেতাগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জানাগেছে, বেতাগী হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফুলতলা গ্রামের আঃ লতিফের স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা বেগম(৫০) নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খাদিজা বেগম বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় এ নিয়ে ডাইরিয়ার উপসর্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।এ উপজেলায় ডাইরিয়ায় ২ জনের মৃত্যু হলো।
হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে, ১৯ এপ্রিল থেকে ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে বেতাগী উপজেলা ছাড়াও পাশ্বর্তি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা থেকেও হাসপতালে ভর্তি হয়েছে ৩০ এপ্রিল সকাল ১০ টা পর্যন্ত ১২৮ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবার একজন এবং আজ একজন মারা গেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০ টা পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি গেছেন ১০৮ জন।আজ একদিনে ছাড়পত্র দিয়েছে ২৬ জন।বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৮ জন।
এদিকে মহামারী করোনায় বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্তব্যরত চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ হওয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে হাসপাতালের সকল চিকিৎসকদের মধ্যে।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে অনেকেই যখন হাসপাতাল বিমুখ ঠিক তখনই ডায়েরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে করোনার মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
গড়ে প্রতিদিন ১০-১২ জন নতুন রোগী ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এদের মধ্যে অধিকাংশই মধ্যবয়সী নারী-পুরুষ। হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন ও খাবার স্যালাইনের সংকট দেখা দিলেও গত২৯ এপ্রিল বেতাগী উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ৬৮০ পিচ ও বরগুনা সিভিল সার্জেন কার্যালয় থেকে ৪০০ পিচ স্যালাইন বরাদ্দ এসেছে ।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রবীন্দ্রনাথ সরকার জানান, অপরিষ্কার জীবনযাপন করার কারণেই এমন প্রাদুর্ভাব। নিয়ামতি সাবান পানি দিয়ে হাত ধুলে করোনা ও ডাইরিয়া সহ অনেক ব্যাধি থেকে দূরে থাকা যাবে।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তেন মং জানান, হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও পানিবাহিত সমস্যার কারনে গত কয়েকদিন ধরে লোকজন ডায়েরিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্যালইনের সংকট নাই।