বাবুগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর বাস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক ও জনপদের রাস্তার দু’পাশের জমি প্রতিনিয়ত অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে। এ সব জমির অবৈধ দখলদাররা কথিত মালিক সেজে প্রতি হাত হিসেবে বিক্রয় করছে ৩ হাজার টাকা করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সড়ক ও জনপদের জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহিন মুন্সীর সাথে মোঃ আলী হোসেনের মধ্যে দোকান ঘর নির্মান নিয়ে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংর্ঘয়ে দুই জন আহত হয়েছে। দুইপক্ষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। উভয়ই তাদের পৈত্রিক জমির সামনের অংশ সড়ক ও জনপদের জমি দাবি করছে। অপরদিকে পৈত্রিক জমির সামনে অংশ সড়ক ও জনপদের জমি দাবি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের ঘটনায় বিল্পব মুন্সী বাদি হয়ে রুবেল, কামরুল ইসলাম রয়েল, রিয়েল নামে তিনজনকে আসামী করে বিমান বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল নিয়ে একের পর এক হামলা মামলাকে উপেক্ষা করে স্থানীয় দখলদার বিল্পব মুন্সী, রেজবি মুন্সী তাদের পৈত্রিক জমি দাবি করে প্রতি হাত ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন। সরকারি জমি দখলদাররা কাগজপত্র ছাড়াই খানপুরা এলাকার বিপ্লব বেপারী, নজরুল, জিয়া, লিটন সহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকাশ্যে দখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপদের জমি। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সব অবৈধ দখল বানিজ্য চললেও এটি দেখভাল করা দায়িত্ব যাদের সেই সড়ক ও জনপদের কর্তা ব্যক্তিরাও নিরব ভূমিকায় রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা যায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এ সব দখল বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দখলদাররা। স্থানীয়রা বলছেন, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর এলাকায় প্রায়ই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। যে কারণে গত বছর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সড়কের দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ১ মাসের মাথায় আবারও অবৈধ দখলদাররা সরকারী এসব জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠে। কয়েক মাসের মধ্যে আরারো দখলদারদের হাতে চলে যায় সড়ক ও জনপদরে এসব জমি। এবার প্রকাশ্যে মেতে উঠেছে ক্রয় বিক্রয় বানিজ্যে। তবে এসময় ওপেন সিক্রেট বানিজ্যের সাথে সড়ক ও জনপদের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহে মহাসড়কের জমি দখল করে অন্যের কাছে বিক্রি করে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, সরকারী জমি বিক্রির সাথে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কেউ জড়িত নেই। বিষয়টি তিনি তদন্ত সাপেক্ষে এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।