চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা থেকে নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে আসা সৃজিতা পাল জানান, প্রথম আসা বান্দরবানে। চাঁদের গাড়ি দিয়ে পাহাড়ের আঁকা-বাঁকা পথে চলে যাওয়া সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। উঁচু নিচু অনেক পাহাড়, পাহাড়ের মাঝখানে ছোট ছোট ঘর আমাকে অনেক বেশি বিমোহিত করেছে। করোনার ভ্যকসিন এসেছে, ভয় অনেকটা কেটে গেছে।
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা মোহাম্মাদ জাকারুল ইসলাম জানান, অরণ্যে ঘেরা চারপাশ । দেখতে খুব ভালো লাগছে। মানুষও প্রচুর। ঝুলন্ত ব্রিজটা অনেক ভালো লেগেছে। এখানে উপভোগ করার অনেক কিছু আছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক জায়গা ঘুরতে পারেনি । ভ্যাকসিন আসায় এখন ভয় কাজ করছে না ।
চট্টগ্রামের খাস্তগির সরকারি বালিকা উচ্চা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনি দাশ জানান, নীলাচল পাহাড় থেকে অনেক ছোট ছোট মন্দির দেখেছিল । ঝুলন্ত ব্রিজ দিয়ে আসতে একটু ভয় ভয় লাগছিল । এ জায়গাটা অনেক সুন্দর ।
গত বছর জেলায় লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে শীত মৌসুমে ৫০% ডিসকাউন্ট দিয়েও পর্যটক টানতে পারেনি আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা। লোকসান গুণতে হয়েছে অনেক বেশি। তাই ব্যবসায়ীদের অনেকে কর্মচারি ছাঁটাইয়ের মত সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এ সময়ে পর্যটকদের ঢল দেখে আবারও আশার জেগেছে ব্যবসায়ীদের মনে।
এদিকে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের টিকিট কালেক্ট সুকুমার চাকমা জানান, শনিবার মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ টিকেট বিক্রি হয়েছে। অনেক মাস পর পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে।
জেলা আবাসিক হোটেল সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান,দীর্ঘ এক বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্যটকরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে। ভ্যাকসিন আসায় জনমনে আতঙ্ক কেটে গেছে। প্রচুর সংখ্যক পর্যটক বান্দরবানে এসেছে। আমরা ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।
এদিকে নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে গেট থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় গতকাল । এছাড়াও জেলা সদরের মূল সড়কের পাশে পর্যটকদের ছোট বড় গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যায় ।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করা জেলা পুলিশ পরিদর্শক মো: আমিনুল হক জানান, ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেকটা পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও যেখানে জনসমাগম হচ্ছে সেসব জায়গায় সিসি ক্যামরা স্থাপন করা হয়েছে যাতে কোন অপরাধী অপরাধ করে পার পেয়ে যেতে না পারে ।