বানারীপাড়ায় কর্মহীন অসচ্ছল মানুষের পাশে সাংবাদিক রাহাদ সুমন
প্রকাশ: ৮ মে, ২০২০, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নাঈম মোঘল,বানারীপাড়া : বানারীপাড়ায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে লকডাউন ও সেলফ হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের কর্মহীন অসচ্ছল পরিবারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ও ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বানারীপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক রাহাদ সুমন।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অথবা প্রাধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সামগ্রী নিয়ে তিন শতাধিক কর্মহীন সাধারণ মানুষের ঘরে ছুটে গিয়েছেন।
একজন জনপ্রতিনিধি না হয়েও শুধু সাংবাদিক হিসেবে তিনি যেভাবে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তাতে এলাকাবাসী শুধু বিস্মিতই নন পুলকিতও। শুধু খাদ্যপণ্য ও ইফতারী সামগ্রীই নয়, সাধারণ মানুষের নানা সমস্যা যেমন দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মামলা-মোকদ্দমা ইত্যাদি বিষয় তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে কিংবা আইনী সহায়তা দিয়ে বিনা টাকায় অথবা অল্প টাকায় তাদের সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছেন। তিনি শীতার্ত দুস্থ মানুষের জন্য কম্বল নিয়ে রাতের আঁধারে তাদের বাড়িতে হাজির হয়ে দরজায় নক করতেন।
নিজ জন্মস্থান পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ড ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার মানুষের বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা ও প্রতিবন্ধীভাতার কার্ডসহ নদী ভাঙনকবলিত সহায় সম্বলহীন মানুষের ঘরে নিজ উদ্যোগে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
আধুনিক বানারীপাড়া প্রেস ক্লাবের রূপকার দক্ষিণ বঙ্গের হাতে গোণা সাংবাদিকদের অন্যতম রাহাদ সুমন বানারীপাড়া প্রেস ক্লাবে একটানা পনের বছর ধরে প্রেস ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ সময়ে তার সহকর্মীদের নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রেস ক্লাবের নিজস্ব ভবন করে দিয়ে নিজেকে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তিনি মানুষের কাছ থেকে যা পেয়েছেন তার চেয়ে দিয়েছেন বেশি। মানুষকে সহজেই আপন করে নেয়ার একটা সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে তার। তিনি নিজ হাতে অসংখ্য সংবাদকর্মী সৃষ্টি করেছেন। কাজ করেছেন “দৈনিক সমকাল”, “দৈনিক ইত্তেফাক”, “দৈনিক কালেরকণ্ঠ”সহ দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টালে। সত্য ঘটনা লিখতে গিয়ে যেমন মানুষের হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন আবার বিপরীতে পেয়েছেন মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা ও সম্মাননা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকতার আইকন রাহাদ সুমন জানান, আমি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টে সবসময় আমার সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকতে চেষ্টা করি।
আমি অবৈধ অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক না হলেও পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বন্দর বাজারের কয়েকটি দোকান থেকে যে ভাড়া পাই তাতে সংসারের প্রয়োজনীয় চাহিদা
মিটিয়ে যা উদ্বৃত্ত থাকে তা নিজ ওয়ার্ড-সহ অন্যান্য এলাকার অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে ব্যয় করি। অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমি নিজেকে
ধন্য মনে করি।