বাকেরগঞ্জ : দু’মুঠো ভাতের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে শিশু সুমাইয়া
প্রকাশ: ২১ মে, ২০২২, ৩:০৯ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বাকেরগঞ্জ সংবাদদাতা ॥ বাবা মানে হাজার বিকেল আমার ছেলে বেলা। বাবা মানে রোজ সকালে পুতুল পুতুল খেলা। বাবা মানে কাটছে ভালো যাচ্ছে ভালো দিন। বাবা মানে মাথার ওপর বটগাছের ছায়া। শত কষ্ট সহ্য করে সন্তানের মুখে হাসি ফোটান বাবা।
কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বাবাকে চিরতরে হারিয়ে সেই ছায়াটি নেই শিশু সুমাইয়ার কপালে। পাঁচ বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে গ্রামীণ জনপদে ভিক্ষা করে ৭ বছরের সুমাইয়া। ভিক্ষা করেই এই শিশুটিকে নিজের ও পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে হয়।
এভাবেই সে তার পরিবারের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়। যে শিশুটির এই বয়সে পুতুল খেলায় মগ্ন থাকার কথা তাকেই ধরতে হয়েছে সংসারের হাল। যে বয়সে হাতে খাতা-কলম থাকার কথা সে বয়সে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে ঘুরছেন দুয়ারে দুয়ারে। ১৯ মে দুপুর ২ টায় জনকন্ঠ পত্রিকার সংবাদদাতা জিয়াউল হক এর নজরে আসে শিশু সুমাইয়া।
সুমাইয়া করুণ সুরে ভিক্ষা চায় আমাকে দু’মুঠো ভাত দেয়া যায় আমি কিছু খাইনি। সুমাইয়াকে ভাত খেতে দেয় ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে সুমাইয়া কে সাথে নিয়ে ছুটে যায় তার বাড়িতে। সুমাইয়ার মা মুকুল বেগম জানান, এর আগেও আমার বিবাহ হয়েছিল দুই বছর আগে আমার স্বামী শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
আমার দুই কন্যা সন্তান সুমাইয়া ও সুমিকে নিয়ে অসহায় হয়ে পরি। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আলমগীর হোসেন এর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে আবদ্ধ হই। এই ঘরেও আমার এক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করেছে। আমার স্বামী আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতেছে। কর্মহীন হয়ে পরেছেন তিনি পাঁচজনের এই সংসারের হাল ধরেছেন শিশুকন্যা সুমাইয়া।
সুমাইয়ার পিতা আলমগীর হোসেন জানান, দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারনে কাজে যেতে পারছি না। সুমাইয়ার ভিক্ষায় আমার সংশার চলে।